আই নিউজ প্রতিবেদক
কোরআন শরীফ ছুঁয়ে কসম করা ঠিক?
কসম করা বা কসম খাওয়া আমাদের সমাজে একটি সাধারণ ঘটনা। যেকোনো বিষয়ের জের ধরে আমরা নানা মানুষকে নানা সময় কসম কাটতে দেখি। কিন্তু কোরআন শরীফ ছুঁয়ে কসম করা ঠিক কি না, করলেও সেই কসম ভাঙলে আমাদের কী করণীয় সে নিয়ে সাধারণত আমরা ভাবি না। এর ফলে গুনাহর ভাগীদার হতে হয়। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ।
আই নিউজের পাঠকদের জন্য আজকের লেখার বিষয় কসম। ইসলামের দৃষ্টিতে কসম কাটা নিয়ে কী বলা হয়েছে তা জানাবো আজকের এই লেখায়। তাই পুরো লেখাটি পড়ুন।
অনেকে রাগের বশবর্তী হয়ে পরস্পর এমন শর্তজুড়ে দিয়ে কসম খায় যে- ‘কোরআনের কসম! এ কাজটি করবো না; কিংবা কোরআন ছুঁয়ে/হাতে নিয়ে বা ধরে শপথ করছি! আর কখনো এমনটি করবো না ’ ইত্যাদি।
কিন্তু এভাবে এভাবে কসম খেলে কি তা সংঘটিত হবে? আবার সময়ের ব্যবধানে সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে বা পরস্পর পুনরায় সুসম্পর্ক তৈরি হলে এ কসম ভাঙ্গা যাবে কি?
শরিয়ত যা বলে, ‘হ্যাঁ’, এভাবে কোরআনের কসম করলে তা কসম হিসেবে সংঘটিত হবে। আর যে বিষয়ে এ কসম করা হয়েছিল; সে বিষয় না মেনে পুনরায় একসঙ্গে মিলেমিশে চললেই কসম ভেঙে যাবে। আর এভাবে যে বা যারাই কসম করুক না কেন; তাদের এ কসমের জন্য কাফফারা আদায় করতে হবে।
কসম ভাঙার কাফফারা
কসমের কাফফারা হলো- ১০ জন মিসকিনকে ২ বেলা তৃপ্তি সহকারে খাবার খাওয়ানো। অথবা প্রত্যেককে (১০ জন মিসকিনকে) এক জোড়া কাপড় দেওয়া। আর কাউকে খাওয়াতে বা কাপড় দিতে না পারলে একটানা ৩ দিন রোজা রাখা হলো কাফফারা।
কসম একমাত্র আল্লাহর নামেই করা ভালো
ইসলামিক বিশারদরা বলেন, কসম একমাত্র আল্লাহ তাআলার নামেই করা যায়। আল্লাহ তাআলার নাম ছাড়া অন্য কোনো জিনিসের কসম করা বৈধ নয়। এমনকি কোরনুল কারিমের নামে কসম করাও নিষিদ্ধ’। (বাদায়েউস সানাঈ, বাহরুর রায়েক, ও ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া)
আই নিউজ/এইচএ
- ছেলেদের ইসলামিক আনকমন নাম অর্থসহ শিশুর নাম
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২২
- মেয়েদের ইসলামিক নাম ২০২৩
- সুন্দর বাচ্চা পিক ডাউনলোড
- মাথা ন্যাড়া করার এই অপকারিতা জানেন কি?
- শুভ সকাল রোমান্টিক মেসেজ | শুভ সকাল স্ট্যাটাস
- ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস বাংলা
- ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- কাউনের চালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
- অনেকেই জানেন না, সিগারেটের বাংলা অর্থ কী?