Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ১৪ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১ ১৪৩২

আই নিউজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ২০ আগস্ট ২০২৩

আজ বিশ্ব মশা দিবস, কীভাবে এলো এই দিবস? 

বিশ্ববাসী প্রতিবছর ২০ আগস্ট দিনটিকে বিশ্ব মশা দিবস হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। সে হিসেবে এবছরের বিশ্ব মশা দিবস আজ। মশা দিবসের সাথে জড়িয়ে আছে আঠারো শতকের শেষদিকে হানা দেয়া ম্যালেরিয়া রোগও। 

আই নিউজের আজকের এই আর্টিকেলে বিশ্ব মশা দিবস নিয়ে অজানা কিছু তথ্য জানাবো। তাই পুরো জানতে আর্টিকেলের সারা অংশ পড়ুন।

ইতিহাসের পাতার তথ্য বলছে, ব্রিটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রস ১৮৯৭ সালের ২০ আগস্ট অ্যানোফিলিস মশাবাহিত ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেছিলেন। পরে তিনি এই আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।

চিকিৎসক রোনাল্ড রসকে সম্মান জানাতেই যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন ১৯৩০ সালে দিবসটি পালনের সূচনা করে।

প্রতি বছর ম্যালেরিয়ায় মারা যান চার লাখ মানুষ
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর ম্যালেরিয়ায় চার লাখ ৩৫ হাজার মানুষ মারা যায়। জনসাধারণকে সতর্ক করতে প্রতি বছর ২০ আগস্ট দিবসটি পালিত হয়।

মশাবাহী ছয়টি রোগ হলো এনকেফালাইটিস, জিকা ভাইরাস, ডেঙ্গু জ্বর, পীতজ্বর, চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া।

বিভিন্ন ভয়াবহ অসুখের মধ্যে মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু উল্লেখযোগ্য। তাই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি মশাবাহিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য এই দিন সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয়। মশাবাহিত রোগ থেকে সাবধান হওয়ার জন্য, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই দিনে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে বেশ কিছু সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়।

মশা উপদ্রবের সময় বর্ষাকাল 
মশা আকারে ক্ষুদ্র হলেও অত্যন্ত ভয়ংকর। খুব সহজেই ঘাতক হিসেবে রূপ নিতে পারে ক্ষুদ্র এই জীবটি। অনেকের কাছে বর্ষাকাল প্রিয় হলেও মাথায় রাখতে হবে এই সময় এলেই বাড়তে থাকে মশার উপদ্রব।

বাংলাদেশে প্রতি বছরই মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বাড়ছে। এ বছরে এখন পর্যন্ত ৪৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধু ডেঙ্গু জ্বরে। অথচ এই মশা দমনে প্রয়োগ করা হচ্ছে না বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। নেই পর্যাপ্ত গবেষণাও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে মশা দমনে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেটি হাস্যকর। এসব পদ্ধতি কার্যকরী কোনো সুফল বয়ে আনবে না। নির্দিষ্ট সময়ে মশা দমনে ওষুধ প্রয়োগ হচ্ছে না। যার কারণে মশা কমছে না।

মশানিধনে বাংলাদেশে প্রশাসনের ব্যর্থতা 
কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। তারা মশা মারতে যে কীটনাশক প্রয়োগ করছে, তার প্রয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে। তারা মশা নিধনে পানিতে হাঁস, ব্যাঙ ছাড়ছে। মশা নিধন করতে ফড়িং ছাড়ছে, এসব কার্যক্রম খুবই হাস্যকর, লোক দেখানো। এসব কার্যক্রমের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

মঞ্জুর আহমেদ বলেন, ‘প্রাকৃতিক কারণে ডেঙ্গু হচ্ছে, আবার প্রাকৃতিক কারণেই কমে যাচ্ছে। এদিকে মশা নিধনে সিটি করপোরেশনগুলো যেসব কর্মসূচি নিচ্ছে, সেগুলোর কোনো কার্যকারিতা নেই। সুতরাং এসব ফগিং করলেও যা, না করলেও তা। সিটি করপোরেশন যদি এই মুহূর্তে তাদের মশা নিধন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় তাতেও যা হবে, কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও তা-ই হবে।

তিনি বলেন, মশা মারার জন্য যে সময়ে ফগিং দেওয়া হয়, সে সময়ে মশা তার নিজ জায়গায় থাকে না। বিভিন্ন দিকে ওড়াউড়ি করে। ঠিক সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্তে মশা কামড়ায়। এজন্য ফগিংটা হওয়া উচিত সেই সময়ে। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ প্রত্যেকেই প্রচারণা চালাচ্ছে যে, দূষিত পানিতেও এডিস মশা জন্মায়। এর কোনো বৈজ্ঞানিক রেফারেন্স তারা দেখাতে পারবে না। এডিস মশা কখনই দূষিত পানিতে জন্মায় না। 

এছাড়া বলা হচ্ছে, তিন দিনের জমা পানিতে এডিস মশা জন্মায়, কিন্তু বিষয়টি তা নয়। এডিস মশা জন্মাতে অন্তত সাত দিন সময় লাগে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়