মো. রওশান উজ্জামান রনি
চটপটির মসলা তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি
চটপটি মসলা | ছবি লিখক
বাজারে চটপটির মসলার প্যাকেট কিনতে পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে ভালো হয় এটা যদি ঘরে তৈরি করা যায়। ঘরে তৈরি চটপটির মসলা দিয়ে তৈরি করা খাবারের স্বদ আলাদা। ঘরে তৈরি চটপটির মসলা চাইলে ৬ মাস সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
আই নিউজের আজকের রেসিপিতে ঘরে থাকা সহজ উপকণে তৈরি করে দেখাবো চাট মসলা। অনেকগুলো টিপসহ চলুন দেখিয়ে দেই পারফেক্ট চটপটির মশলা তৈরির ফর্মুলা।
চটপটি বানানোর উপকরণ
- শুকনা মরিচ ৭ থেকে ৮টা
- গোটা জিরা ২ টেবিল চামচ
- গোটা ধনিয়া ২ টেবিল চামচ
- পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ
- বিট লবণ ২ টেবিল চামচ
- মিষ্টি জিরা আধা টেবিল চামচ
- কালো গোলমরিচ আধা চা চামচ
- কালো শরিষা আধা চা চামচ
- লবঙ্গ ৮ থেকে ৯ টা
- রাধুনী ১ চা চামচ
- মেথি ১ চা চামচ
চটপটি মসলা তৈরি পদ্ধতি
আজকের চটপটি মসলা তৈরি করার জন্য প্রথমে আমরা নিয়ে নিচ্ছি শুকনো মরিচ। চুলার আঁচটা মিডিয়ামে রেখে প্যানের মধ্যে শুকনো মরিচগুলো দিয়ে আলতো করে চেপে চেপে এবং নেড়ে চেড়ে ভেজে নিতে হবে। মরিচগুলো ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে তুলে নিয়ে ওই একই প্যানের মধ্যে এবার দিয়ে দিন আস্ত ধনে। কালারটা একটু চেঞ্জ হবে তবে পুড়িয়ে ফেলা যাবে না। আর ভাজা হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্যান থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে। তা না হলে কিন্তু প্যানের গরমে আরো বেশি ভাজা হতে থাকবে।
তারপর সেই একই প্যানে এবং একই আঁচে আমরা বাকি মসলাগুলোও টেলে নিব। প্রথমে জিরা আর পাঁচফোড়নটা দিয়ে দিন। যদি আপনাদের পাঁচফোড়নে রাঁধুনি না মেশানো থাকে আলাদা করে এক চা চামচ রাঁধুনি দিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে লবঙ্গ এবং গোলমরিচ দিয়ে দিন এবং সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে টেলে নিন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না নাকে একটা সুন্দর ভাজাভাজা গন্ধ আসছে এবং কালারটাও হালকা চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। তখনই আর দেরি না করে চুলা থেকে এটা নামিয়ে ফেলতে হবে এবং আলাদা একটা পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। যাতে প্যানের গরমে গোটা মসলা গুলো অতিরিক্ত পুড়ে না যায়।
মসলা ভাজা শেষ এখন এই সবকিছু একসঙ্গে মেশালে আমাদের চটপটি মসলা রেডি হয়ে যাবে। তবে আপনি যদি চটপটি মসলাটা বেশি দিন সংরক্ষণ করতে চান সে ক্ষেত্রে গুঁড়ো করার আগে মশলাটাকে অবশ্যই ঠান্ডা করে নিবেন। গরম গরম চুলা থেকে নামিয়ে যদি গুঁড়ো করেন তাহলে মশলার মধ্যে একটা আদ্র ভাব চলে আসে এবং মশলাটা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এবং সুগন্ধটাও চলে যায়। তাই মসলা যখন পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন এটাকে একটা বেলেন্ডার কাপের মধ্যে ঢেলে নিন। সবকিছু একসঙ্গে ভালো করে গুড়ো করে নিন। যেহেতু ভাজা মসলা তাই খুব সহজেই এটা গুড়ো হয়ে যাবে।
শেষবার গুঁড়ো করার আগে এর মধ্যে দুই টেবিল চামচ বিট লবণ দিয়ে দিন এবং একসঙ্গে আবারো একটু গুঁড়ো করে নিন। বিট লবণ মসলার সঙ্গে যেমন ভালোভাবে মিশে যাবে সেই সঙ্গে মসলার কালারটাও কিন্তু অনেক উজ্জল হয়ে যাবে। গুঁড়ো করার আগে বিট লবণ অবশ্যই ভেজে নিবেন। এখন আমাদের চটপটি মশলা কিন্তু একদম রেডি। দেখতেই পাবেন চমৎকার একটা কালার এসেছে। আপনি যখন বাসায় বানাবেন এই চটপটির মসলা তখন টের পাবেন সুগন্ধটা আসলে কতটা চমৎকার। যদি না আপনি মসলাগুলো ভাজতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন।
চটপটি মশলা বানানোর শেষ এবার সংরক্ষণের পালা। তার জন্য খুব ভালো হয় যদি কাচের জারে ভরে রাখেন। তাহলে চটপটি মশলাটা বেশি দিন ফ্রেশ থাকে। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে পাত্রে রাখবেন সেটা যেন পুরোপুরি শুকনো হয়। আর এইভাবে কোন পাত্রে রেখে সেটা ভালো করে মুখ বন্ধ করে ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে রেখে দিলে ছয় মাস ধরে আপনি সেটা ব্যবহার করতে পারবেন।
আই নিউজ/আর
আরও পড়ুন -
- ছেলেদের ইসলামিক আনকমন নাম অর্থসহ শিশুর নাম
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২২
- মেয়েদের ইসলামিক নাম ২০২৩
- সুন্দর বাচ্চা পিক ডাউনলোড
- মাথা ন্যাড়া করার এই অপকারিতা জানেন কি?
- শুভ সকাল রোমান্টিক মেসেজ | শুভ সকাল স্ট্যাটাস
- ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস বাংলা
- ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- কাউনের চালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
- অনেকেই জানেন না, সিগারেটের বাংলা অর্থ কী?