আপডেট: ১২:১৩, ২৭ এপ্রিল ২০১৯
নিষ্ঠুর শহরে নিঃসঙ্গ আলফা
মহানগরের এক প্রান্তে বিশাল জলাভূমির মাঝে ছোট্ট মাচাং ঘরে বসবাস আলফার। এলাকায় পরিচিত আর্টিস্ট হিসেবে। রিকশা পেইন্টিং আর বিলবোর্ড এঁকে দিন কাটে। একটা গাধার পিঠে শিল্পের সরঞ্জাম চাপিয়ে নগরে কাজে বের হয় সে। সব মিলিয়ে আলফা ভীষণ বেখাপ্পা দ্রুত পাল্টাতে থাকা নগর জীবনে। একদিন তার ঘরের নিচে খুঁটির পাশে এসে জড়ো হয় একটি বেওয়ারিশ লাশ। সেই লাশের সূত্র ধরে আলফা মুখোমুখি হয় হৃদয়হীন দুনিয়ার সঙ্গে।
চলচ্চিত্রের নাম আলফা। গ্রিক বর্ণমালার প্রথম অক্ষর, যার অন্য এক অর্থ সূচনা বা আরম্ভ। দেশের চলচ্চিত্রের আরও এক নতুন সূচনার ঘোষণা দিয়ে গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকটি সিনেপ্লেক্সে এক যোগে মুক্তি পায় চলচ্চিত্রটি। নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর আলফায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চট্টগ্রামের ছেলে আলমগীর কবির।
গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় ফোন করলে আলমগীর জানান, আলফার প্রদর্শনী উপলক্ষে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। অভিনয় জগতে হুট করে আসা। তারওপর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, সে কারণে অনুভূতিটাও অন্য রকম বলে জানালেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়ে লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে পুরোপুরি সংগীত সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করেন আলমগীর। মাঝে মাঝে উধাও হয়ে যান। ভালোবাসেন ঘুরে বেড়াতে। আলফার সঙ্গে চরিত্রের মিল আছে কি না, প্রশ্ন করলে আলমগীরের জবাব, একটু তো আছেই। তবে আলফার মতো একটি চরিত্র করতে গিয়ে চার মাস প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। এ সময় ঢাকায় একটি অফিসের মেঝেতে বিছানা করে ঘুমিয়েছেন। মুঠোফোন বন্ধ ছিল পুরোপুরি। কথা-বার্তা বলাও কমিয়ে দেন অনেকটা।
কীভাবে এই চলচ্চিত্রে আসা জানতে চাইলে আলমগীর বলেন, ২০০৮ সালে অঞ্জন সরকার জিমির একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। সেই চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েই অভিনয়ের শুরু। তবে সেটা সিরিয়াস কিছু ছিল না। এরপর আলফায় অভিনয়ের প্রস্তাব পান। ঢাকায় অডিশন দিয়ে টিকেও যান। এর আগে চলচ্চিত্রের অভিজ্ঞতা সামন্যই। লাইটম্যান নামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন, অভিনয়ও করেছেন দু-একটাতে।
২৮ দিনের শুটিং এর সময় বেশ কিছু মজার অভিজ্ঞতাও হয়েছে তাঁর। একটি দৃশ্যে গোলেনুর (দিলরুবা দোয়েল) আলফার কপালে চুমু খান। সেটি ঠিকঠাক হচ্ছিল না। মোট ১৭ বার টেক নিতে হয়েছে ওই দৃশ্যের জন্য। এ ছাড়া শুটিং শুরু হওয়ার আগে অভিনেত্রী শিমুল ইউসুফ কিছু ব্যায়াম অভিনয়ের নির্দেশনা দেন তাঁদের। সেটাও বেশ কাজে লেগেছে। শুটিংয়ের একটা স্পট ছিল দিয়াবাড়ির ঝিলে আলফার বাঁশের বাড়িটি। সেটি এখনো মিস করেন বলে জানান আলমগীর।
ঢাকার উত্তরা, দিয়াবাড়ি, মধুপুরে আলফার শুটিং হয়। সে সময় পেট্রলবোমা পড়ছিল চারদিকে। তাই ভীষণ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে শুটিং টিমকে। তবে সব ছাপিয়ে আলমগীরের মনে পড়ে শুটিংয়ের শৃঙ্খলার বিষয়টা। পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ শুটিং স্পটে আসতেন সবার আগে, যেতেন সবার পরে। খুবই শান্ত থাকতেন তিনি। গলা চড়িয়ে কথা বলেননি কখনো। এ কারণে টিম স্পিরিটও ছিল অন্য রকম।
ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নির্মিত এ চলচ্চিত্রের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় আছেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। প্রযোজনা করেছেন ফরিদুর রেজা সাগর ও পরিচালকের কন্যা এশা ইউসুফ।
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের