শিল্প ও সাহিত্য ডেস্ক
আপডেট: ১১:০৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
তোমার হৃদয়ে যেদিন ভালোবাসা থাকবে না: ওমর খৈয়াম
ইরানের প্রসিদ্ধ কবি ওমর খৈয়ামের পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইব্রাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তাঁর জন্ম ১০৪৮ সালের ১৮ মে। আর মারা যান ১১৩১ সালে। তিনি একাধারে একজন কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ।
অসাধারণ জ্ঞানী ওমর খৈয়াম জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতের অনেক কঠিন রহস্য বা প্রশ্নের সমাধান দিয়ে গেলেও অনেক অজানা বা রহস্যময় বিষয়গুলোর সমাধান জানতে না পারায় আক্ষেপ করে গেছেন। তাই তিনি জীবন এবং জগতের ও পারলৌকিক জীবনের রহস্য বা দর্শন সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। এসব প্রশ্ন শুধু তার মনেই নয়, যুগে যুগে জ্ঞান-তৃষ্ণার্ত বা অনুসন্ধানী মানুষের মনের প্রশান্ত সাগরেও তুলেছে অশান্ত ঝড়।
মৃত্যুর ৮৮৮ বছর পরেও দোর্দণ্ড প্রতাপে বেঁচে আছেন ওমর খৈয়াম। গত শতকের ত্রিশের দশকে বাংলা ভাষায় এই কবির অমর কাব্য রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম অনুবাদ করতে শুরু করেন নজরুল। তাঁর নানান উক্তি আমাদের জীবনযাপনের অংশ হয়ে গেছে। নজরুলই বলতে গেলে দারুণভাবে তাঁকে আমাদের কাছের মানুষ করে দিয়েছেন।
ওমর খৈয়ামের অমিয় কিছু উক্তি-
- এই মুহূর্তের জন্য খুশি হও। এই মুহূর্তটিই তোমার জীবন।
- তোমার হৃদয়ে যেদিন ভালোবাসা থাকবে না, সে দিনটাই অপচয় হলো।
- আমি যখন বর্তমান সম্পর্কে জানতে চাই অথবা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে, তখন অতীতের দিকে ফিরে তাকাই।
- চলে যাওয়া অতীত আর অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা কেনো যদি আজকের দিনটা মিষ্টি হয়।
- তিনটি জিনিসের মূল্য তিন শ্রেণির মানুষ ভালো বুঝতে পারে। যৌবনের মূল্য বুঝে বৃদ্ধ, স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝে অসুস্থ ও সম্পদের প্রয়োজনীয়তা বুঝে অভাবী।
- পৃথিবী ছাড়িয়ে, দূরতম আকাশের ওপারে আমি স্বর্গ ও নরক খোঁজার চেষ্টা করি। তারপর আমি একটা গম্ভীর কণ্ঠ শুনি: ‘স্বর্গ ও নরক তোমার ভেতরেই আছে’।
- বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের স্বাধীনতাই আমার কাছে ধর্ম।
- অনেক দুঃখে যখন তুমি পথ চলতে পারবে না, আর কাঁদতে পারবে না, তখন বৃষ্টির পর ঝকঝকে সবুজ পাতাগুলো নিয়ে ভাবো। দিনের আলো যখন তোমাকে ক্লান্ত করে, তুমি আশা করো দুনিয়াজুড়ে চূড়ান্ত একটি রাত, তখন একটি ছোট্ট শিশুর জেগে থাকা নিয়ে ভাবো।
- একটা জলের ফোঁটা সমুদ্রের সঙ্গে মিশে গেলো। ধুলোর একটি ঝাঁক পৃথিবীর সঙ্গে মিশে গেলো। পৃথিবীতে তোমার এই আসা ও ছেড়ে যাওয়া কেমন, একটি মাছি উড়ে এলো, আবার অদৃশ্য হয়ে গেল।
- গোলাপ ফোটে একবার, ফুটে চিরকালের জন্য মরে যায়।
- হৃদয়ে যখন প্রেমের গোলাপের চারা রোপন করলে তোমার জীবন বৃথা যায়নি।
- সুখের পেছনে ছুটো না। দীর্ঘশ্বাসের মতো জীবনও ছোট।
- নিরর্থক সাধনা ও অহেতুক বিতর্কে সময় নষ্ট করো না।
- স্বাধীনভাবে চিন্তা করো এবং মুক্তমন দিয়ে দেখো স্বর্গ। প্রত্যেককে ক্ষমা করো, কাউকে দুঃখ দিও না।
- জীবন একটি ভ্রমণ এবং ভ্রমণকারী দু’বার বাঁচে।
- ন্যায়বিচার হলো বিশ্বজগতের প্রাণ।
- পৃথিবীতে আমি পানির মতো এসেছি, কিন্তু চলে যাবো বাতাসের মতো।
- প্রতিদিন ভোরে যেমন একটি নতুন দিন জন্ম নেয়, তেমনি একটা দিন কমে যায়।
- ধন্য যারা এই পৃথিবী কখনও দেখেনি।
- শুধু বর্তমানের স্বাদ নাও, অতীত থেকে কেবল গন্ধ আসে মৃতদের।
- দুই ধরণের চোখ রয়েছে, দেহের চোখ ও আত্মার চোখ। দেহের চোখ মাঝে মাঝে ভুলতে পারে, কিন্তু আত্মার চোখ সবসময় স্মরণ করে।
- সত্য ও মিথ্যার মাঝের দূরত্ব হলো একটি চুল পরিমাণ।
- আস্তিনের ধুলো ঝাড়ো যত্ন নিয়ে, একদিন এই ধুলোই ছিলো সুন্দর একটি মুখ।
- মন্দির যদি মানুষের ভেতরেই থাকে, তাহলে পূজারীরা বাইরে মাথা ঝাঁকায় কেন?
- চিন্তাশীল আত্মা থেকে একাকীত্ব অবসর নেয়।
- যদি শান্তি ও নির্মলতায় পৌঁছতে চাও তাহলে পুরো পৃথিবীর বেদনা ঝেড়ে ফেলো।
- চলমান আঙুল লিখে চলে, লিখে চলে আদেশপত্র।
- যার একজনমাত্র শত্রু আছে, তার সঙ্গেই সব জায়গায় দেখা হয়ে যায়।
- গোপনীয়তা অমানুষদের কাছ থেকে দূরে রাখা উচিত ও রহস্য বোকাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা উচিত।
- যে ফুলটি প্রস্ফুটিত হলো একসময় তাকে মরতেই হবে।
- কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ: বাঙলা ভাষার প্রথম বই
- জীবনানন্দ দাশের কবিতা: বৃক্ষ-পুষ্প-গুল্ম-লতা (শেষ পর্ব)
- জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাখিরা
- দুঃখের নাগর কবি হেলাল হাফিজ
- সমরেশ মজুমদার এবং ২টি কবিতা
- মাকে নিয়ে লিখা বিখ্যাত পঞ্চকবির কবিতা
- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৯ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা
- হ্যারিসন রোডের আলো আঁধারি
- পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
- গল্পে গল্পে মহাকাশ
মেজোমামা খুব বোকা