শিল্প ও সাহিত্য ডেস্ক
আপডেট: ১৬:৫১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
শ্যামলাল গোঁসাই’র কবিতা ‘হাড়ের পাখি’
হাড়ের পাখি-১
যুগ যুগও যদি বেঁচে যাই আমি
আর কারো গান গাইবো ভাবো?
হেঁটে যেতে যেতে পৃথিবীর পথ
তোমাকেই ফের চাইবো, পাবো?
রোজ অপঘাতে মরে যায় কতো
প্রাণ, চোখ দিয়ে দেখি,
তারা কি জানে তুমি যে আমার
হাড় দিয়ে গড়া পাখি?
জানে কি তারা অপঘাতে মরে মৃত্যুই হয় শুধু,
জীবন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে হয়ে স্বামীহারা বঁধু।
চোখ জোড়া কাঁদে কঠিন ব্যাথায়
তাও রোজ চেয়ে দেখি,
বুঝে না কেউ-ই, তুমি যে আমার
হাড় দিয়ে গড়া পাখি।
সে কি জানে?
তোমরা আমারে শিখাও
ক্যামনে মানুষরে আরও ভালোবাসা যায়
আরও কাছে রাখা যায়
কী করলে, কী বললে মানুষ ছেড়ে যায় না চলে
আমারে শিখাও তোমরা;
আমার ক্লান্ত দেহের মৃত্যু হলে
মানুষের কোলে মাথা রাখতে চাইবো আমি
সে-কথা সৈরাচার ঈশ্বরও জানেন!
সে কি জানে, যার জানার কথা?
দিব্য শিশু-১
আমি রঙধনুর সাত রঙে রাঙা মানুষ
আমার বুকে প্রেম মুখে কণ্ঠক চক্র
আমি এক দিব্য শিশুর নিত্য খেলার রঙের বাক্স
সে শিশু নাড়ায় যাদু কাটি- আমি গিরগিটি হয়ে যাই
সে আমারে হাসায়, কাঁদায় কখনো বা ভাসায়
অথচ আমি অষ্টাদশী যুবক!
রক্তে আমার টগবগে তোরগের ক্ষিপ্ততা
তবু হেরে যাই দিব্য শিশুর কাছে!
আমার সাত চক্রের প্লে-গ্রাউন্ডে ঘুরে বেড়ায় খামখেয়ালি সে দিব্য শিশু
হায় দিব্য শিশু, বন্ধু হতে হতেও শত্রু হয়েছো তুমি- বলো ফের কি দেখা হবে?
আমি তোমার কেউ তো হই
যাবার যে, সে যাক না চলে
থাকার যে, সে এমনি থাকে
কার মনে কী লুকিয়ে আছে
অন্যে কী তার সবটা দ্যাখে?
যাবার যে, সে চলেই যাবে
থেকে যাবে নাম শুধু তার
ক্ষুদ্র আয়ুর এই আসরে
কেই'বা কবে থেকেছে কার?
যেতে চাইলে তুমিও যেও
আটকাবো যে সাধ্য কই?
যেতে যেতে মনে রেখো
আমি তোমার কেউ তো হই!
- কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ: বাঙলা ভাষার প্রথম বই
- জীবনানন্দ দাশের কবিতা: বৃক্ষ-পুষ্প-গুল্ম-লতা (শেষ পর্ব)
- জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাখিরা
- দুঃখের নাগর কবি হেলাল হাফিজ
- সমরেশ মজুমদার এবং ২টি কবিতা
- মাকে নিয়ে লিখা বিখ্যাত পঞ্চকবির কবিতা
- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৯ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা
- হ্যারিসন রোডের আলো আঁধারি
- পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
- গল্পে গল্পে মহাকাশ
মেজোমামা খুব বোকা