Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

শিল্প ও সাহিত্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১১, ২৭ জানুয়ারি ২০২১
আপডেট: ২০:১৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

ওয়াহিদুল হক: বাঙলা সংস্কৃতির অতন্দ্র প্রহরী

বাঙালি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ওয়াহিদুল হক। বাঙলার সংস্কৃতি এক অতন্দ্র প্রহরীও যাকে বলা যায়। যিনি একই সাথে সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ, লেখক এবং সাংবাদিক। আজ তার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি মারা যান তিনি। 

সংস্কৃতিপ্রেম আর দেশ ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ব্যক্তি ওয়াহিদুল হককে পৌঁছে দিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। অদম্য প্রাণশক্তি নিয়ে এই গুণী ব্যক্তি বাঙালি সংস্কৃতির শক্তিতে জাগিয়ে রেখেছেন দেশের মানুষকে।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অস্ত্রধারী বাঙালি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো কণ্ঠ দিয়ে লড়েছেন সে সময়ের শিল্পী সৈনিকরা। মুক্তিকামী সাংস্কৃতিক দল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ দেশের সাধারণ মানুষকে জাগ্রত রাখার জন্য ওয়াহিদুল হক বেছে নিয়েছিলেন সঙ্গীত। 

শুধু তাই নয় দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও রবীন্দ্র-গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তার ভূমিকা অপরিসীম। বাঙলা দেশে যখন লোকগানের একটিমাত্র গন্ডিতে সঙ্গীত চর্চা আটকেছিলো তখন তিনি আমাদের দেশের শিল্পি সমাজকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতকে। তাই এক্ষেত্রেও তার অবদান অনেক।

মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক দলের সংগঠনসহ ছায়ানট, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কণ্ঠশীলন, আনন্দধ্বনি, নালন্দা, ব্রতচারী সমিতি, সরোজ প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। জীবনভর ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়েও সঙ্গীত প্রসারের কাজে ঘুরেছেন দেশের বিভিন্ন জেলায়।

ওয়াহিদুল হকের জন্ম ১৯৩৩ সালের ১৬ মার্চ ঢাকার কেরানীগঞ্জের ভাওয়াল মনোহরীয়া গ্রামে। তার বাবা আবু তাইয়েব মাজহারুল হক ও মা মেওয়া বেগম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

তার লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘চেতনাধারায় এসো’, ‘গানের ভেতর দিয়ে’, ‘সংস্কৃতি জাগরণের প্রথম সূর্য’ ও ‘সংস্কৃতির ভুবন’।

আনুষ্ঠানিক পুরস্কার বা অবদানের ক্ষেত্রে বরাবরই ভীষণ অনীহা ছিল তার। সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তার ‘জসীমউদ্‌দীন পুরস্কার’ ও ‘কাজী মাহবুব উল্লাহ পুরস্কার’ পাওয়ার কথা জানা যায়।

আইনিউজ/এইচএ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়