আইনিউজ ডেস্ক
আপডেট: ০৯:১১, ১০ জুন ২০২১
শান্তিনিকেতনের নেপাল রায়কে ‘দণ্ড’ দিয়েছিলেন রসিক রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এককথায় কোনোও সীমা রাখেন নি। গান, কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছড়া কোনও কিছুই বাদ দেন নি, বাংলা সাহিত্যের সবকিছুতেই প্রাসঙ্গিক তিনি। এসব সকলেরই জানা। তবে সবাই যেটা জানেন না, সেটা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভরপুর ছিলেন তার নিজস্ব রসিকতায়। তাই কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার, সুরকার, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ নন, এই প্রতিবেদনে দেওয়া হচ্ছে রসিক রবীন্দ্রনাথের এক মজার ঘটনা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষটি এক্কেবারেই রাশভারী ব্যক্তি ছিলেন না। বরং বেশ রসিক মানুষ ছিলেন বলেই জানা যায়। যার প্রমাণ পাওয়া যায় বেশকিছু ঘটনায়। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় রসিকতাটি তিনি করেছিলেন নেপাল রায়কে নিয়ে।
একবার শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক নেপাল রায়কে রবীন্দ্রনাথ লিখে পাঠালেন, 'আজকাল আপনি কাজে অত্যন্ত ভুল করছেন। এটা খুবই গর্হিত অপরাধ। এজন্য কাল বিকেলে আমার এখানে এসে আপনাকে দণ্ড নিতে হবে।'
একথা শুনে চিন্তিত নেপালবাবু পরের দিন কবির কাছে উপস্থিত হলেন। আগের রাতে দুশ্চিন্তায় তিনি ঘুমাতেও পারেননি। তারপরেও তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ চিন্তার মধ্যেই বসিয়ে রেখেছেন কবিগুরু। অবশেষে একটি মোটা লাঠি হাতে এলেন কবি। নেপালবাবুর তখন ভয়ে কাণ্ডজ্ঞান লুপ্তপ্রায় হওয়ার অবস্থা। তিনি ভাবলেন, সত্যিই বুঝি লাঠি তাঁর মাথায় পড়বে।
কবি সেটি বাড়িয়ে ধরে বললেন, 'এই নিন আপনার দণ্ড! সেদিন যে এখানে ফেলে গেছেন, তা একদম ভুলে গেছেন।'
আইনিউজ/এসডি
- কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ: বাঙলা ভাষার প্রথম বই
- জীবনানন্দ দাশের কবিতা: বৃক্ষ-পুষ্প-গুল্ম-লতা (শেষ পর্ব)
- জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাখিরা
- দুঃখের নাগর কবি হেলাল হাফিজ
- সমরেশ মজুমদার এবং ২টি কবিতা
- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৯ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা
- পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
- মাকে নিয়ে লিখা বিখ্যাত পঞ্চকবির কবিতা
- হ্যারিসন রোডের আলো আঁধারি
- গল্পে গল্পে মহাকাশ
মেজোমামা খুব বোকা