বিশেষ প্রতিবেদক
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে প্রাণের বইমেলা
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালীর ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এই মাসেই শুরু হয় বাঙালীর সবথেকে বড় বইয়ের উৎসব অমর একুশে বইমেলাও। অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতায় এবছর ফেব্রুয়ারির পহেলা তারিখ থেকেই ঢাকায় শুরু হবে বইমেলা। বইমেলার সকল প্রস্তুতিও ইতিমধ্যে সম্পন্ন বলে জানিয়েছে মেলা কতৃপক্ষ।
এর আগে ২০১৯-২০ সালে মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে মাসের মধ্যভাগে শুরু হয়েছি বইমেলা। তাছাড়া সামাজিক দূরত্ব মানাসহ নানা বিধিনিষেধের কারণে বইমেলার গত দুই আসর অনেকটাই ছিল আড়ম্বরহীন। তবে এবছর সেরকম কিছু না থাকায় ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে বইমেলা।
কোভিড-১৯ এর কারণে গত দুই বছরের অমর একুশে বইমেলার ঐতিহ্যবাহী তারিখ পরিবর্তন করা হয়।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বাংলা একাডেমির বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণে এবার পুরো মাসজুড়ে আয়োজনটি চলবে বলে জানিয়েছে বইমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি।
২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো এবছর প্রধানমন্ত্রী সশরীরে মেলার উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ প্রদান করবেন এবং সাতটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, এবারের বইমেলার জন্য ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট (স্টল) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৭৭৬টি স্টল। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি স্টল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে অমর একুশে বইমেলা কমিটির সম্পাদক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকাশক ও মেলাপ্রেমীদের পরামর্শ ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা স্টল ও প্যাভিলিয়ন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টে কিছু পরিবর্তন এনেছি। পূর্ববর্তী পদ্ধতি পরিবর্তন করা হচ্ছে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে ৪৮৯টি স্টল এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে দর্শনার্থীরা যে কোনো কোণ থেকে পুরো মেলার মাঠ দেখতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের পাশে পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের স্টল বসানো হয়েছে। খাবার দোকানের জন্য দুটি নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারিত হয়েছে। কোনো অসংগঠিত, খোলা বা রাস্তার খাবারের দোকান থাকবে না।’
মেলায় প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চারটি প্রবেশপথ ও চারটি প্রস্থান পথ দিয়ে দর্শনার্থীরা চলাচল করতে পারবেন। তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তারা সকাল ৮টায় মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন এবং রাত সাড়ে ৮টার পর সব প্রবেশপথ বন্ধ থাকবে।
আই নিউজ/এইচএ
Eye News YouTube Video
প্রকৃতির সন্তান খাসি - খাসিয়া জনগোষ্ঠী | Eye News
- কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ: বাঙলা ভাষার প্রথম বই
- জীবনানন্দ দাশের কবিতা: বৃক্ষ-পুষ্প-গুল্ম-লতা (শেষ পর্ব)
- জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাখিরা
- দুঃখের নাগর কবি হেলাল হাফিজ
- সমরেশ মজুমদার এবং ২টি কবিতা
- মাকে নিয়ে লিখা বিখ্যাত পঞ্চকবির কবিতা
- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৯ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা
- হ্যারিসন রোডের আলো আঁধারি
- পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
- গল্পে গল্পে মহাকাশ
মেজোমামা খুব বোকা