সাগর জাহান
নবী মুহাম্মদের শবে মেরাজের সংক্ষিপ্ত ঘটনা
মুসলামানদের বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ শবে মেরাজ আজ দিবাগত রাতে। এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করবেন। এই রাতে সাধারণত জিকির-আজগার ও ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেন মুসলিমরা। কেউ কেউ এদিনে নফল সওয়ামও পালন করে থাকেন।
শবে মেরাজ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কাছে একটি বিশেষ রাত। কেননা, এই রাতের নবী মুহাম্মদ (সঃ.) এর জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিষ্ময়কর ঘটনাটি ঘটে। শবে মেরাজের ঘটনা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলেম-ওলামায়েদের মাঝে নানা মতভেদ থাকা স্বত্বেও এ রাতটিকে সকলেই মহিমান্বিত রাত হিসেবে বর্ণনা করেন।
আরবি মেরাজ বা মিরাজ শব্দের বাংলা অর্থ ঊর্ধগমন। শরিয়তপন্থী মুসলমানদের কাছে এই বিশ্বাসটি প্রচলিত আছে যে, শবে মেরাজের রাতে নবী মুহাম্মদ (সঃ.) সাত আসমান, সাত জমিন পাড়ি দিয়ে আরশে মুয়াল্লায় আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। তিনি এক রাতের ভেতরে জেরুসালেমে অবস্থিত মসজিদুল আকসায় পৌঁছান এবং সেখানে সকল নবীদের ইমামতি করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। তাছাড়া, এই রাতেই মুসলিমদের পাঁচ ওয়াকত নামাজের নিয়ম আবির্ভুত হয় বলেও জানা যায়।
ধর্মীয় বর্ণনা মতে শবে মেরাজের ঘটনা মোটামুটি এরকম-
আজকের রাত হলো সেই মহান ও ঝলমলে উজ্জ্বল রাত, যে রাতে প্রিয় নবীকে এক মহান মুজিযা দান করা হয়েছে। আজকের রাতে সকল ফিরিশতার সর্দার জিব্রাঈল আমিন নবী মুহাম্মদের খেদমতে দ্রুতগামী বাহন “বুরাক” নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।
সে রাতে প্রিয় নবীকে নওশা (দুলহা) সাজিয়েছেন, বিনম্র আদব সহকারে বুরাকের উপর আরোহন করানো হলো, রাসূলে করীম এক রাতের মধ্যেই মক্কা শরীফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পৌঁছলেন, নবী করীমে َক স্বাগত জানানো হলো, প্রিয় নবী সমস্ত আম্বিয়ায়ে কিরামের ইমামতি করলেন।
আজকের রাতেই নবী করীম সকল আসমান সমূহে পরিভ্রমন করলেন এবং এর আশ্চার্য বিষয়াবলী অবলোকন করলেন। এ রাতেই প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী প্রতিটি আসমানে আম্বিয়ায়ে কিরামের সাক্ষাত করলেন। নবী করীম সিদরাতুল মুনতাহায়ও গেলেন, এই স্থানে পৌঁছেই জিব্রাঈল আমিন সামনে অগ্রসর হতে অপারগতা প্রকাশ করে নিলেন।
আজকের রাতেই তিনি স্থানে পৌঁছলেন, যেখানে জ্ঞানও কাজ করে না। প্রিয় নবীকে এ রাতে বিশেষ নেয়ামত সমূহ দান করা হয়। প্রিয় নবীকে প্রথমে ৫০ ওয়াক্ত নামায উপহার স্বরূপ আল্লাহ তায়ালার দরবার থেকে দান করা হয়েছে, যা কমানোর পর পাঁচ ওয়াক্ত নামায হিসেবে মুমিনদের উপর ফরয করা হয়েছে।
আজকের রাতেই নবী করীম জান্নাত ও দোযখ পর্যবেক্ষন করে আল্লাহ তায়ালার বিশেষ নৈকট্য লাভ করেন। আজকের রাতেই প্রিয় নবী কপালের চোখেই সম্পূর্ণ জাগ্রত অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার দীদার করেন।
আই নিউজ/এইচএ
আই নিউজ ভিডিও গ্যালারী
হানিফ সংকেত যেভাবে কিংবদন্তি উপস্থাপক হলেন | Biography | hanif sanket life documentary | EYE NEWS
- কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ: বাঙলা ভাষার প্রথম বই
- জীবনানন্দ দাশের কবিতা: বৃক্ষ-পুষ্প-গুল্ম-লতা (শেষ পর্ব)
- জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাখিরা
- দুঃখের নাগর কবি হেলাল হাফিজ
- সমরেশ মজুমদার এবং ২টি কবিতা
- মাকে নিয়ে লিখা বিখ্যাত পঞ্চকবির কবিতা
- হ্যারিসন রোডের আলো আঁধারি
- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৯ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা
- পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
- গল্পে গল্পে মহাকাশ
মেজোমামা খুব বোকা