শ্যামলাল গোঁসাই
আপডেট: ১২:৩৭, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
তিনটি সাম্প্রতিক কবিতা | শ্যামলাল গোসাঁই
সর্প
রাত যখন বাড়ে
নিরব হয় যখন লোকালয়— শুনশান
বুকের ভেতরে ব্যথার কুণ্ডলী পাকিয়ে জেগে ওঠে একটা মণিহারা নাগ!
সে পুরাকালের প্রেমিক, নাগরাজ
চুম্বনে বিষ নেই যেন, ছিলোও বা যেটুকু তার
সয়ে গেছে বদনে আমার
ছোবলে ছোবলে নীল হয়ে যাই না তাই
হয়ে উঠি কমলারাঙা আরও
যখন, পৃথিবীর রাত হয় গাঢ়
একটি মণিহারা সাপ চড়ে বসে বুকের উপরে
যেন এই বুক তার বহুকাল চেনা,
তার সাথে জেগে থেকে থেকে
তোকে কেন মনে পড়ে সোনা?
কবর
যখন নিশুতি রাত
যখন থেমে গেছে চরাচরে মানুষের লেনদেন
ফুরিয়েছে আলোকের দায়
কেউ নাই সাথী এক পাল জোনাকি আর
বুকের ভেতরে দুঃখের দানা দিয়ে পোষা পাখি ছাড়া!
তুমি একা কবরে শুয়ে আছো মেহেরুণ
আমিও একা! এই আটশো কোটির পৃথিবীতে—
একলা একটা দলচ্যুত বেদুঈনের মতো।
রাত কিছু ঘন হলে, মৃদু মৃদু পায়ে এসে তোমার ওই কবরের পাশে
একটা পাগল ছেলে ড্যাবডেবে চোখে জল, বলে না কিছুই শুধু হাসে!
তুরগ
একটি ঘোড়া আসবে একদিন কল্পনার আকাশ হতে নেমে
অথবা ইতিহাসের পাতা হতে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেঁটে আসবে ঘোড়াটি
সাথে নিয়ে আজন্মকালের অভিশপ্ত নিশাকর
কংকালসার শরীর তার, হাঁড়ের ঠনঠন আওয়াজ মিশে যাবে নগরের মিথ্যা বিজ্ঞাপনি আয়োজনে
প্রেমিক হতে কিংবা সমাজতত্ত্ব বুঝতে, বুঝাতে নয়
আদর্শের অবশিষ্ট রুটিটিও এখন মস্ত জোয়াড়ির দন্ত্যালয়ে
ঘোড়ারা রুটি খায় না, খায় যে ঘাস তারা
বনখেকো ভরা দেশে আজ তাও পায় না
একবিংশ শতাব্দীর এই বারুদ ঠাসা বিস্তৃত লোকালয়ে টিকে থাকা
মখমলি ঘাসগুলো খেয়ে চলে যাবে অতঃপর—
মানুষের ক্ষুধার ধিক্কার দিতে দিতে।র
লেখক- শ্যামলাল গোসাঁই কবি ও সংস্কৃতিকর্মী
আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখুন
জলময়ূর পাখির সাথে একদিনের দারুণ গল্প | A story with Water Peacock
- কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ: বাঙলা ভাষার প্রথম বই
- জীবনানন্দ দাশের কবিতা: বৃক্ষ-পুষ্প-গুল্ম-লতা (শেষ পর্ব)
- জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাখিরা
- দুঃখের নাগর কবি হেলাল হাফিজ
- সমরেশ মজুমদার এবং ২টি কবিতা
- মাকে নিয়ে লিখা বিখ্যাত পঞ্চকবির কবিতা
- হ্যারিসন রোডের আলো আঁধারি
- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৯ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা
- পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
- গল্পে গল্পে মহাকাশ
মেজোমামা খুব বোকা