হেলাল আহমেদ
বৈরী বাতাস | কবিতা
কবিতা ২ : বৈরী বাতাস
পাড়ি দিচ্ছি তোমার পাতিয়ে রাখা পথ
কখনো দ্রুত হেঁটে, কখনোবা মৃদু মৃদু পায়ে
এ গহীন লোকবনে বেভুল হয়েছে যারা আগে
তারাও হেঁটেছে এবা, গিয়েছে সে অনিকেত গাঁয়ে।
যেখানে রাতের পরে আসেনা নূতন কোনো রাত
যেখানে দিনের পরে জাগে না নূতন কোনো দিন
আমিও সেখানে সখি রেখে যাবো নিথর দু'হাত
এ করুণ পৃথিবীতে চুকে যাবে জীবনের ঋণ।
পাড়ি দিচ্ছি, তোমার সে পাড়ি দেয়া পথ
কখনো হাসি দিয়ে, কখনোবা কাঁপিয়ে আকাশ
কখনো কখনো সখি মিশে গিয়ে অন্ধকারে- গায়ে মেখে বৈরী বাতাস।
কবিতা ১ : এই পথ পাড়ি দিয়ে শেষে
এই পথ পাড়ি দিয়ে শেষে, পান করে চিরঞ্জ অমৃতসুধা
আরেক পথের হবে যেখানে শুরু
সেখানে থাকবো দাঁড়িয়ে কাকতাড়ুয়া হয়ে
পাপের বুতী ভরা কৃষকের নষ্ট ফসল
র'বে নিজ কাঁধে, আমিসহ আরও অনেকের;
অনেকেই চলে যাবে জানি, তবু কিছু থেকে যাবে আরও
আমিও তাদের দলে র'বো
দাঁড়িয়ে কাকতাড়ুয়া হয়ে
আরেক পথের হবে যেখানে শুরু
শেষ যেখানে আরেকটি পথ কিংবা জীবনের
সেখানে, তোমার জন্য অপেক্ষায় র'বো প্রিয়া
আমাদের দ্বৈত মিলনে জন্ম নেবে নতুন কোনো পথ
জাত, গোষ্ঠী আর পৈতেমি ভান রেখে দলে দলে আসবে মানুষ
আমাদের সঙ্গমস্থলে
জন অরণ্যের মাঝে, খোলা মঞ্চ পাতিয়ে মিলন হবে আমাদের
কবিতার বইয়ে সাক্ষর দিয়ে, বিশ্বাস করে সঙ্গীত আর সুরে
মানুষকে ভালোবাসার অভিপ্রায়
আমরা মিলনে রত হবো।
এই পথ পাড়ি দিয়ে শেষে, পান করে চিরঞ্জ অমৃতসুধা
আরেক পথের হবে যেখানে শুরু সেখানে
আমাদের দ্বৈত মিলনে শুরু হবে নব কোনো পথ।
আই নিউজ/এইচএ
- কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ: বাঙলা ভাষার প্রথম বই
- জীবনানন্দ দাশের কবিতা: বৃক্ষ-পুষ্প-গুল্ম-লতা (শেষ পর্ব)
- জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাখিরা
- দুঃখের নাগর কবি হেলাল হাফিজ
- সমরেশ মজুমদার এবং ২টি কবিতা
- মাকে নিয়ে লিখা বিখ্যাত পঞ্চকবির কবিতা
- হ্যারিসন রোডের আলো আঁধারি
- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৯ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা
- পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
- গল্পে গল্পে মহাকাশ
মেজোমামা খুব বোকা