সাহিত্য ডেস্ক
কালকূট: শ্যামলাল গোসাঁই | কবিতা
সন্ধান
তোমায় খুঁজেছি আমি যতোখানি
তারচেয়ে বেশি জানি
খুঁজেছে কবিতার অক্ষর
হাতের কলম, জগ, রূপহীন ঘর
আমার চেয়েও ঢের তোমায়
খুঁজেছে বোতাম শার্টের, চা’র চিনি
আমি কি পেরেছি ততো আর—
খুঁজেছেন তাঁরা যতোখানি?
২৫ শ্রাবণ ১৪৩০
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে অকস্মাৎ একদিন
দেখবে জেগে আছি— শিয়রে তোমার চোখের জল হয়ে,
হয়তোবা বাদুড়ের মতো থাকবো ঝুলন্ত—
ভালোবাসার কাঁটাগাথা বৃক্ষে সাজানো, গুছানো কুটিরে তোমার।
একদিন অকস্মাৎ, ঘুম ভেঙে গেলে মাঝরাতে
বুঝে যাবে তুমি— তোমার আননে চেয়ে চেয়ে
জেগে আছি নিদ্রাহীন কতোদিন।
২৪ শ্রাবণ ১৪৩০
কালকূট
জেনো, একদিন তোমায় হাসাবো বলে—
আমি কাঁদিয়া চলেছি আজ বহুদিন
ব্যথা প্রোথিত বহু গিরিভার লয়ে বুকের প’রে
আকণ্ঠ নিমজ্জিত মর্মপীড়ায়, এ যুগের নীলকণ্ঠ সেজেছি—
জেনো, একদিন পাবো তোমারে এ অভিলাষী ঘোরে
নিজ দেহে করে চলেছি শব সাধন, রয়েছি ধ্যানে মগ্ন,
অন্ধকারে পড়ে আছি নির্গতি পাথরের মতো—
একদিন তোমার আলোয় দেখবো বলে এ হীন সংসার।
সখা, প্রিয় মোর, জেনো একদিন
তোমার অধরে আমি তহুরা ছিটিয়ে দেবো বলে
আজীবন পান করে যাবো বিরহের নীল কালকূট।
৬ শ্রাবণ ১৪৩০
কবি: শ্যামলাল গোসাঁই
- কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ: বাঙলা ভাষার প্রথম বই
- জীবনানন্দ দাশের কবিতা: বৃক্ষ-পুষ্প-গুল্ম-লতা (শেষ পর্ব)
- জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাখিরা
- দুঃখের নাগর কবি হেলাল হাফিজ
- সমরেশ মজুমদার এবং ২টি কবিতা
- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৯ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা
- মাকে নিয়ে লিখা বিখ্যাত পঞ্চকবির কবিতা
- হ্যারিসন রোডের আলো আঁধারি
- পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
- গল্পে গল্পে মহাকাশ
মেজোমামা খুব বোকা