সুমাইয়া ইসলাম চৌধুরী
মালিকানা
মালিকানা
সুমাইয়া ইসলাম চৌধুরী
আমার খুব ইচ্ছে ছিলো
পাল তোলা নৌকা হবো।
প্রতিটি সাঝেঁর বেলায় তোমার সাথে,
নীলিমার নীল ছুঁতে তটিনী পাড়ি দেব।
নৌকার পাটাতনে শুয়ে;
তুমি যুদ্ধজয়ের স্বপ্ন দেখবে
আমি দেখবো তোমার স্থির কিন্তু চঞ্চল
চোখের অপার চাহনি,
কল্পনার দৃশ্যপটে ফুটিয়ে তুলবে
বহু পুরোনো কত ইতিহাস।
তোমায় অনুপ্রেরণা দেব আমি,
তোমার সাহস হবো আমি,
তোমার ভরসা জিতব আমি,
ক্রমাগত বাতাস কেটে তীরবেগে
রূপকথার দুরন্ত পঙ্খিরাজের গতিতে
তোমায় ছুটিয়ে নিয়ে যাব আমি।
আমার খুব ইচ্ছে ছিলো
বিজয়ীর বেশে তুৃমি পায়ে হেঁটে
মুখে রাজ্যজয়ের হাসি নিয়ে
নিজ দেশে ফিরে এসে তুমি,
জীর্ণ বৈঠাটি হাতে নেবে আবার
পুনরায় সযত্নে টানবে আমার দাঁড়!
অথচ তা তুমি করলে না
কল্পনার সবিশেষ দিক থেকে
প্রচন্ড ক্লান্ত-অবসন্ন তুমি
আমার কোলে মাথা রেখে
ঘুমিয়ে পড়লে পরম নিশ্চিন্তে...
জেগে ওঠো, দয়া করে জেগে ওঠো
আর একটুখানি সময় দাও
আরও একটুখানি ভাবো
সময় জীবনীশক্তিকে ফুরিয়ে দেবে
কিন্তু ফুরোতে দেবে না তোমার
অমূল্য দুখানি ডায়েরী...
যে ডায়েরীর মালিকানা তোমার নেই
কিন্তু অবিশ্রান্ত ভাবে লেখা হচ্ছে;
লিখছে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুজন কর্মকর্তা
জানো? তাদেরও মৃত্যু আছে
মৃত্যু তো নেই তোমার কল্পনার
মৃত্যু তো নেই এই দুর্বোধ্য লিপিদের।
আমার বড় ইচ্ছে ছিলো
নিরাপদে তোমায় পৌঁছে দেব
তোমার স্বদেশের কুটিরে
কিন্তু হায়! এই সমুদ্রঝড় এক নিমিষে
দুমড়ে মুচড়ে খান খান করে দিলো
অসহায় দুর্বল আমার ছইটিকে,
ভেঙে দিলো আমার পাল, বৈঠা, দাঁড়;
যারা ছিলো কিনা আমার
মেরুদণ্ড, আমার পাজর!
সেই অবিজিত করুণ ডায়েরীর
হে অলিখিত অধিকারী,
স্বপ্ন বলে কিছু নেই
সময় বড্ড ক্ষণস্থায়ী;
পদে পদে আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা,
তাও যদি লিখিয়ে যেতে পারতে তুমি
আমি বড় শান্তি পেতাম, শান্ত হতাম;
আমার আশাটি পূর্ণতা পেত
পূর্ণ হতো আমার নির্ভরতা!
শিক্ষার্থী
ইংরেজি বিভাগ
শিক্ষাবর্ষ '২১-'২২
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
- কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ: বাঙলা ভাষার প্রথম বই
- জীবনানন্দ দাশের কবিতা: বৃক্ষ-পুষ্প-গুল্ম-লতা (শেষ পর্ব)
- জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাখিরা
- দুঃখের নাগর কবি হেলাল হাফিজ
- সমরেশ মজুমদার এবং ২টি কবিতা
- মাকে নিয়ে লিখা বিখ্যাত পঞ্চকবির কবিতা
- হ্যারিসন রোডের আলো আঁধারি
- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৯ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা
- পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
- গল্পে গল্পে মহাকাশ
মেজোমামা খুব বোকা