শ্যামলাল গোসাঁই
শ্যামলাল গোসাঁই`র কবিতা ছায়ার জামা
শ্যামলাল গোসাঁই`র কবিতা ছায়ার জামা
ছায়ার জামা
দেখেছি পোশাকের মতো মানুষ—
মুহুর্তে বদলে ফেলে শরীরের চামড়া
ধমনীতে এক ঝটকায় বদলে যায় রোহিত রঙ
দুঃখের পুকুরে ধীরে ধীরে, ডুবে যেতে যেতে
দেখেছি আবার জেগে ওঠে মানুষ
কিসের আশায়? কোন বাসনায়
জেনেছেন বুদ্ধ এবং আরও গুটিকতক ছায়ার জামা।
সব দেখেশুনে মুখ ফিরে আসে মানুষের মুখ থেকে
জোর করে তাক করে রাখি তাও মুখ
মনে হয় মুখ নয়, চেয়ে আছে আদম বন্দুক
আমাদের দিকে।
১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বাংলা
দুষ্কালের পদ্য
বুকের ভেতর জমে আছে সাবেক দিনের দহন তাপ
এটুক নিয়েই চলছি পথে, দিচ্ছি পাড়ি একেক ধাপ।
চোখের ভেতর অনেক দিনের না দেখার অসুখ
মুখের রেখায় ভাসছে আজও একটি প্রিয় মুখ।
স্পর্শে হাতের লেগে আছে আরেক হাতের ছাপ
বুকটা যেন বুক নয় আজ আর, বিষাক্ত এক সাপ।
অগ্রহায়ণ-১৩/১৪৩০ বাংলা
তাঁরা যখন বিলাসবহুল সম্মিলন কেন্দ্রে ঝড় তুলছেন
আলোচনার, 'মানবাধিকার, মানবাধিকার' বলে
ওখানে মানুষগুলো তখনো অপেক্ষায়— আরও
একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার
আকাশের রঙ ঢেকে আছে একদল নরখাদক আগুনের পাখি
ইনকিউবেটরে তখন পড়ে আছে নিথর
ফয়েল পেপারে মোড়া সাতটি শিশুর লাশ।
চারপাশ প্রকম্পিত করে
মাথার আরও কাছে যেন নেমে আসে অনন্ত ধূসর, প্রতিদিন
মানুষের মাংসের দলা নিয়ে উড়ে চলে যায়
সাদা সাদা শকুনের দল।
একদিন নিঃসঙ্গ গাছ হবো
নিজেদের অলক্ষ্যে একদিন, আমরা নিঃসঙ্গ গাছ হয়ে যাবো
নাভি দিয়ে শেকড়
গজাবে কাঁধে, উরুতে আর নিতম্বেও
ভূগর্ভের আরো গভীর থেকে শুষে আনব অনাবিল আনন্দ সুধা।
গাছ হলে সংসার হয় না, মানুষের মতো
বিষণ্ণ মৌসুমে ঝরে গেলে পরে নেই রোদনের ভয়
আসন্ন ঋতুতে ভরে যাব পান্না রাঙা পাতায় পাতায়
ঝরে যাব ফের একদিন
গাছেদের এই তো নিয়ম!
১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
কবি- শ্যামলাল গোসাঁই, সহ সম্পাদক, আই নিউজ
- কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ: বাঙলা ভাষার প্রথম বই
- জীবনানন্দ দাশের কবিতা: বৃক্ষ-পুষ্প-গুল্ম-লতা (শেষ পর্ব)
- জীবনানন্দ দাশের কবিতার পাখিরা
- দুঃখের নাগর কবি হেলাল হাফিজ
- সমরেশ মজুমদার এবং ২টি কবিতা
- মাকে নিয়ে লিখা বিখ্যাত পঞ্চকবির কবিতা
- হ্যারিসন রোডের আলো আঁধারি
- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ৯ দিনব্যাপী অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা
- পিকলু প্রিয়’র ‘কবিতা যোনি’
- গল্পে গল্পে মহাকাশ
মেজোমামা খুব বোকা