নিজস্ব প্রতিবেদক
খাদ্য সামগ্রীর দাম কেন ঊর্ধ্বমুখী, জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী

দেশে বিভিন্ন সময় খাদ্য সামগ্রীর দাম হঠাৎ করে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক কারণে উৎপাদন ব্যহত হওয়াই এর কারণ বলে সংসদে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) জাতীয় সংসদে স্পীকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে পিরোজপুর-৩ আসনের সংস সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে খাদ্য সামগ্রীর হঠাৎ দাম বৃদ্ধির কারণ জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে রাজধানীসহ সারাদেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও পণ্যের মূল্য নিয়ে কেউ যাতে মনোপলী বা অলিগোপালী অবস্থার সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য প্রতিযোগিতা কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।’
সাংসদ এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সম্প্রতি দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।’
সরকারি দলের সাংসদ শফিউল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নানামুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে পণ্য মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে আসতে শুরু করেছে।’
জাতীয় পার্টির সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রির মূল্য বৃদ্ধি রোধ করে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিরবিচ্ছিন্নভাবে পদক্ষেপ নিয়ে তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।’
- আরও পড়ুন- রমজানে স্কুল-কলেজ চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত
সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার নানা কার্যক্রম গ্রহণ করায় ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ক্রমশ কমছে। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ভঅরতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫১২ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এটি বেড়ে এক হাজার ২৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।’
- আরও পড়ুন- ৭ বিভাগে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ভারতের সঙ্গে কমপ্রিহেন্সিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) সম্পাদনের বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সিইপিএ সই হলে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোসহ ভারতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করবে।
আইনিউজ/এসডি
আইনিউজ ভিডিও
মানসিক চাপ কমাবেন যেভাবে
বয়স পঞ্চাশের আগেই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা
খালি পেটে ঘুমালে যেসব ক্ষতি হয়
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের