নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে পৌঁছেছে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ

বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে।
শনিবার (২৮ মে) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে তার মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
জানা গেছে, আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ দুপুর ১টায় জাতীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৪টায় তার মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে আনা হবে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় তার মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
গত ১৯ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গাফফার চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৮ বছর। ডায়াবেটিস, কিডনি রোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
২০ মে শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইন মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক শহীদ আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
তিনি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে গান ‘‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’’র রচয়িতা।
আবদুল গাফফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে। তার বাবা হাজী ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন।
১৯৫০ সালে “দৈনিক ইনসাফ” পত্রিকায় কাজের মাধ্যমে সাংবাদিক হিসেবে গাফফার চৌধুরীর কর্মজীবন শুরু। মহিউদ্দিন আহমদ ও কাজী আফসার উদ্দিন আহমদ তখন পত্রিকাটি পরিচালনা করতেন। ১৯৫১ সালে “দৈনিক সংবাদ” প্রকাশ হলে গাফফার চৌধুরী সেখানে অনুবাদকের কাজ নেন। এরপর বিভিন্ন সময় তিনি বহু পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বিভিন্ন সময় মাসিক সওগাত, দিলরুবা, মেঘনা, ইত্তেফাক, আজাদ, জেহাদ ও পূর্বদেশসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন বরেণ্য এই সাংবাদিক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সপরিবারে সীমান্ত পেরিয়ে আগরতলা হয়ে কলকাতা পৌঁছান। সেখানে মুজিবনগর সরকারের মুখপত্র সাপ্তাহিক জয়বাংলায় লেখালেখি করেন। এ সময় তিনি কলকাতায় দৈনিক আনন্দবাজার ও যুগান্তর পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবেও কাজ করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তিনি দৈনিক জনপদ বের করেন।
১৯৭৩ সালে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলজিয়ার্সে ৭২ জাতি জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে যান আবদুল গাফফার চৌধুরী। দেশে ফেরার পর তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য প্রথমে কলকাতা নিয়ে যান। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় তাকে নিয়ে ১৯৭৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে যান। এরপর তার প্রবাসজীবন শুরু।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। “চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, “সম্রাটের ছবি”, “ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’’, “বাঙালি না বাংলাদেশী’’সহ তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৩০। এছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে আছে “পলাশী থেকে বাংলাদেশ’’, “একজন তাহমিনা’’ ও “রক্তাক্ত আগস্ট’’।
আইনিউজ/এসডি
আইনিউজ ভিডিও
আলী আমজাদে রিইউনিয়ন
বন্যার স্রোতে তলিয়ে গেল ব্রিজটি
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের