শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
শাবিতে সিইই বিভাগের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান শুরু

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগের তিন দিনব্যাপী রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান 'এক্সিড-২৩' প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এক ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগ ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে দক্ষ ও কর্মঠ ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে ভূমিকা রেখে আসছে। সরকারের মেঘা প্রকল্প ওসমানী আন্তজার্তিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ, যমুনা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা শহরের চারপাশে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণ, ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে ও পায়রা সেতু নির্মাণসহ বিভিন্ন টেকসই পরিবেশ প্রকল্পে এই বিভাগের গ্রাজুয়েটরা তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়তই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অপ্রত্যাশিত বৈশ্বিক দুযোর্গের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। যা আমাদের দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য আমাদের প্রয়োজন এমন সব ইঞ্জিনিয়ারদের যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রেখে যাবে। যারা দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ডিজাইন এবং স্থাপনা নির্মাণ করতে পারে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মো. শামীম জেড বসুনিয়া, শাবির অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম। রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে সিইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজবাহ উদ্দিন, কনভেনর হিসেবে অধ্যাপক ড. মো. ইমরান কবির ও কো-কনভেনর হিসেবে অধ্যাপক ড. মো. বশিরুল হক দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে বিকাল চারটায় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রতিযোগিতার পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এসময় অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ ও অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুল হক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ প্রতিযোগিতায় দেশের ৪০টির বেশি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৭০০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন অংশ নেন। এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিজেদের দক্ষতা পরীক্ষার এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে তাদের প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ তৈরি করা। ৭টি ভিন্নধর্মী প্রতিযোগিতায় সর্বমোট পুরষ্কার ছিল দুই লক্ষ টাকা।
আই নিউজ/এইচএ
আই নিউজের ভিডিও গ্যালারীতে দেখুন
নীলাদ্রি লেক আমাদের এক টুকরো কাশ্মীর | পাখির চোখে নীলাদ্রি
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের