বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনার বিষয়ে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের পর তাদের পুনর্বাসন করা হবে।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এদিন সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

অপরদিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজারের বেশি দোকান। এছাড়া এ ঘটনায় মার্কেটের লোকসান হয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। তাই প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ৭০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ চেয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) আগুন লাগার ঘটানায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। 

• পুড়েছে ৫ হাজার দোকান, ক্ষতি প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা 

তিনি বলেন, সব পুড়ে শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আগুন নেভার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আমাদের জানা মতে, শুধু বঙ্গবাজার কাঠের মার্কেটেই আড়াই হাজারের মতো দোকান রয়েছে। এখানে ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান করেন। সামনে ঈদ। সবাই ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনার পণ্য তুলেছেন দোকানে। এমন সময় এই অগ্নিকাণ্ড বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে এনেছে।

হেলাল উদ্দিন বলেন, এই ব্যবসায়ীদের পুঁজি বলতে দোকানের মালামালই। মালামাল পুড়ে গেলে তাদের আসলে পুুুুঁজি বলতে সব শেষ। এখন তাদের জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, রমজানের ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসায় ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রাথমিকভাবে সাতশ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হোক।

আই নিউজ/এইচএ 

আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখুন

জলময়ূর পাখির সাথে একদিনের দারুণ গল্প | A story with Water Peacock