আই নিউজ ডেস্ক
দেশে একদিনে রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন
দেশে গতকাল বুধবার (১২ এপ্রিল) একদিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে। বুধবার রাত নয়টায় ১৪ হাজার ৯৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। যা এ পর্যন্ত উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণের হিসেবে সর্বোচ্চ।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। ২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে লিখেন, 'গতকালের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল আজকের উৎপাদন। রাত ৯টার রিপোর্ট অনুযায়ী আজ দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৯৩২ মেগাওয়াট। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন রেকর্ড।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল- যেকোনো মূল্যে সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্য পূরণে আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছেন, সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।'
গরম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া রমজান মাস ও সেচ মৌসুমের কারণে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য মতে, সোমবার সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ৩৮০ মেগাওয়াট। মঙ্গলবারের সর্বোচ্চ চাহিদা ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট।
বর্তমানে দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট হলেও সর্বোচ্চ উৎপাদন সম্ভব ১৫ হাজার ১৮২ মেগাওয়াট। সোমবার গ্যাস স্বল্পতায় ২ হাজার ৪০৭ মেগাওয়াট, কয়লা সংকটে ১২৯ মেগাওয়াট, পানির অভাবে ২০৫ মেগাওয়াট এবং কেন্দ্র সংষ্কার ও মেরামতের কারণে দুই হাজার ১৩৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়নি। এখন ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ১ হাজার ৯০৭ মেগাওয়াট।
ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে মহাসড়কগুলোতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও নৌপথে আকস্মিক দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ চালাতে ফায়ার সার্ভিস, রেসকিউ বোট, ডুবুরি, আগুন নেভানোর সরঞ্জামাদিসহ অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতেও বলা হয়েছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ঈদ ও পহেলা বৈশাখকেন্দ্রিক সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কগুলোতে সৃষ্ট খানা-খন্দক দ্রুত ও মানসম্মতভাবে মেরামতের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র ইত্যাদি চলাচল বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা ছাড়াও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দ্রুত অপসারণ করে পার্শ্ববর্তী খালি জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে। যাতে দুর্ঘটনাজনিত পরিস্থিতিতে যানজটের সৃষ্টি না হয়।
জরুরি সার্ভিস গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদির সহায়তা পেতে ৯৯৯ সার্ভিসের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে। টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রাসহ গুরুত্বপূর্ণ কনস্ট্রাকশন স্থানে ছোটখাটো গর্ত, ভাঙা জায়গা মেরামত ও হেয়ারিং করার জন্য একটি টিমকে ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত করার সুপারিশ করা হয়। যানজট এড়াতে পরিস্থিতি মনিটর করতে রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, জেলা পুলিশ টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াবে। ঈদের আগে সাত দিন ও পরে সাত দিন সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন না থামানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি নারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। একই সময়ে র্যাবের দৃশ্যমান টহল জোরদার করতে হবে। ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতে ও মার্কেটগুলোতে রাত্রীকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আই নিউজ/এইচএ
আই নিউজ ভিডিও গ্যালারী
হানিফ সংকেত যেভাবে কিংবদন্তি উপস্থাপক হলেন | Biography | hanif sanket life documentary | EYE NEWS
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের