আই নিউজ প্রতিবেদক
বিএনপি বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথা নিয়ে ব্যস্ত, জনগণ নিয়ে নাই :
বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা-বাইসস আয়োজিত সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি- সংগৃহীত
‘বিএনপির রাজনীতি চারটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ’ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন- এই চারটি বিষয়ের মধ্যে বিএনপি ও তার মিত্রদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ। বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথা বাড়ল কি বাড়ল না, গায়ের তাপমাত্রা ঠিক আছে কি না; সেটি নিয়ে তারা ব্যস্ত। জনগণ নিয়ে তারা ব্যস্ত নাই।’
আজ রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে দেশের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা-বাইসস আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
সভায় বাইসস সভাপতি গোলাম সারোয়ার মিলনের সভাপতিত্বে মহাসচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বারবার বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। এর অর্থ জনগণ ও জনগণের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করা, জনগণকে তোয়াক্কা না করা। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কাছে অনুনয়-বিনয় করা দেশবিরোধী অপতৎপরতা।’
‘রাজনীতিবিদ ধরনা দেবে জনগণের কাছে। যারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে তারা জনগণের কাছে ধরনা দেবে। কিন্তু জনগণের কাছে ধরনা না দিয়ে রাত-বিরাতে বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। এটি দেশবিরোধী অপতৎপরতা।’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভেতরে যদি রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকে সেটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা না করে বিদেশিদের কাছে নিয়ে যাওয়াও দেশবিরোধী অপতৎপরতা। এই কাজটি বিএনপিসহ তার মিত্ররা করছে।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনগুলোতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেভাবে হয়েছে সেটি শুধু দেশের জন্যই নয়, এই উপমহাদেশের জন্য উদাহরণ। ক’দিন আগে পশ্চিমবাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছে, আমাদের দেশে সেটি হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ছিল বিএনপির ওপর একটি চপেটাঘাত। কারণ, বিএনপি নির্বাচনে শুধু অংশগ্রহণ করে নাই তা নয়, তাদের নেতাকর্মী-সমর্থকদের নির্বাচন বর্জন করতে বলেছে। কিন্তু তাদের আহ্বানে কেউ সাড়া দেয় নাই। জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখান থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, আগামী নির্বাচন বিএনপি বর্জন করতে পারে, জনগণ তা করবে না, জনগণ অংশ নেবে।’
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদেরকে তৃণমূলের নেতা হিসেবে তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী তাদেরকে বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ অনেকটা আপনাদের ওপর নির্ভর করে। তাই অনুরোধ জানাব, গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ুন। আগামী নির্বাচনে যাতে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে, সেটির প্রচারণা করুন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতি যাতে অব্যাহত থাকে, সেটির পক্ষে প্রচার করুন।’
তিনি বলেন, ‘যারা দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত, দেশের সম্মানহানি করে বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরে, তাদেরকে বর্জন করুন। নিজেদের সংগঠনকে সুসংগঠিত করুন।’
বাইসস সভাপতি মিলন তার বক্তব্যে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমরা চাই অবশ্যই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু জনগণ অংশগ্রহণ করছে কি না সেটিই গণতন্ত্রের জন্য মুখ্য বিষয়।’
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের