আই নিউজ ডেস্ক
যা বললেন লালবাগ থানার ওসি
লালবাগ থানা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে ঘিরে আলোচনায় ঢাকার লালবাগ থানা। লালবাগ থানার ওসি ওই শিক্ষার্থীদের মৃত্যুতে হ-ত্যা মামলা নিতে অপারগতা দেখানোয় থানা এলাকা ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। এ নিয়ে বেশকিছু ভিডিও এরিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই খালিদ সাইফুল্লাহ নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহ*ত হন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা শনিবার রাতে মামলা করতে গেলে লালবাগ থানার ওসি মামলা নিতে গড়িমসি শুরু করে। মামলা রুজু করতে রাজি না হওয়ায় দেড় শতাধিক এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে রাত সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা থানায় অবস্থান করছিলেন।
লালবাগ থানার ওসি খন্দকার হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, নি*হতের পরিবার রাতে থানায় মামলা করতে আসে। যেহেতু হ*ত্যা মামলা, তাই তাদের বলেছি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মামলা রুজু করতে হবে। এজন্য রোববার সকালে আসতে বলা হয় তাদের। কিন্তু তারা এতে রাজি নন। লোকজন এসে মামলা নিতে চাপ দিতে থাকে।
নি*হত খালিদ সাইফুল্লাহ একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাসা লালবাগ থানার রসুলবাগে। গত ১৮ জুলাই আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করে পরিবার। সমস্যার শুরু হয় তার এ মৃত্যুর ঘটনায় লালবাগ থানার ওসি যখন মামলা নিতে অপারগতা দেখান তখন।
শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহর মৃত্যু সম্পর্কে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে থানায় গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়। এ কারণে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলাকাবাসীসহ নিহতের বাবা মামলা করতে থানায় যান। পুলিশ মামলা না নেওয়ায় এলাকাবাসী থানায় ভিডিও করে রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ভিডিওতে এক তরুণকে বলতে শোনা যায়, সাইফুল্লাহর বাবা শুক্রবার মামলা করতে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। আজকেও (শনিবার) মামলা করতে এসেছিলেন, তাও নেওয়া হয়নি। ওসি আওয়ামীপন্থি হওয়ায় মামলা নিচ্ছেন না। কিন্তু মামলা রাতেই নিতে হবে। অন্যথায় আরও শিক্ষার্থী থানায় আসবেন। মামলা না নেওয়া পর্যন্ত তারা থানা থেকে যাবেন না।
অপর এক তরুণ বলেন, সাইফুল্লাহ শহীদ হয়েছেন। তাঁর বাবা মামলা করতে এসে কেন বারবার ঘুরবেন। বিচার চাইতে এসে কেন হয়রানির শিকার হতে হবে। আজিমপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ সেদিন নির্বিচারে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও গুলি ছুড়েছে।
লালবাগ থানার এক কর্মকর্তা জানান, লোকজন জড়ো হওয়ার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে লালবাগ থানার ওসি খন্দকার হেলাল উদ্দিনকে নিয়ে বিতর্কের শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ওসিকে হেলাল উদ্দিনকে আওয়ামী পন্থী বলে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা বলছেন- আওয়ামী পন্থী হওয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নি-হত শিক্ষার্থীর মামলা নিতে গড়িমসি করছেন তিনি।
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের