আগাম জামিন আবেদনের শুনানি আজ: আনভীরের পক্ষে তিন বাঘা আইনজীবী

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের আগাম জামিনের শুনানি হবে আজ হাইকোর্টে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ জামিন আবেদনটি শুনানি হবে। 

শুনানিতে আনভীরের পক্ষে রয়েছেন দেশের বাঘা তিন আইনজীবী। তারা হলেন, ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ বিচারপতি (অব.) মনসুরুল হক চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও সিনিয়র আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন।

মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার

গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে ২য় বর্ষের কলেজ শিক্ষার্থী মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা করেছেন।

মৃত তরুণীর বড়বোন নুসরাত জাহান বলেন, আমি নিজে বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেছি। মামলাটি হয়েছে সুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে। বিস্তারিত...

মোসারাত জাহান মুনিয়া

এ বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘মোসারাত জাহানের বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। মেয়েটির পরিবার কুমিল্লায় থাকে। এখানে ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।’

সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, রাতে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর-২৭। মামলার আসামি করা হয়েছে দেশের একটি শীর্ষ শিল্পগ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান তানভীর এর বিরুদ্ধে। 

আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এদিকে আনভীর বিদেশ চলে যাচ্ছেন এমন সমালোচনায় সোশ্যাল মিডিয়া সরব ছিলো। এসব আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বিস্তারিত...

মুনিয়ার পরিবারকে ব্যারিস্টার সুমনের আইনি সহায়তা

অন্যদিকে, মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার পরিবারকে আইনি সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সুমন।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন গণমাধ্যমকে জানান, মোসারাত মুনিয়ার বাবা-মা কেউ পৃথিবীতে নেই। এই এতিম মেয়ের জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি ভালো আইনজীবী না পান তারা তাহলে আমি মুনিয়ার পক্ষে আদালতে দাঁড়াতে চাই। তার পরিবারকে আমি আইনি সহায়তা দিতে চাই বিনামূল্যে। বিস্তারিত...

আইনিউজ/এসডি