Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ এপ্রিল ২০২৫,   চৈত্র ২৫ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ৩ এপ্রিল ২০২২
আপডেট: ১৯:০৬, ৩ এপ্রিল ২০২২

টিপ পরায় শিক্ষিকাকে পুলিশের হেনস্তা, সংসদে ক্ষোভ সুবর্ণা মুস্তাফার

লতা সমাদ্দার অভিযোগ করেছেন, শনিবার সকালে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় পুলিশের পোশাক পরা একজন ব্যক্তি তাকে “টিপ পরছোস কেন” বলে কটূক্তি করেন। তিনি তখন প্রতিবাদ জানালে গায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই পুলিশ সদস্য।

কপালে টিপ পরায় এক নারীকে হেনস্তা করার ঘটনায় জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সুবর্ণা মুস্তাফা। আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে সুবর্ণা মুস্তাফা এ প্রশ্ন রাখেন। তিনি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা সংসদে বলেন, ‘বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না। এখানে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, এমনকি সে বিবাহিত না বিধবা, সেটা বিষয় নয়। একটি মেয়ে টিপ পরেছে। তিনি একজন শিক্ষক। রিকশা থেকে নামার পর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার ইভ টিজ করেছে।’

রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার সম্প্রতি থানায় সাধারণ ডায়েরি করে অভিযোগ করেছেন, কপালে টিপ পরায় পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তি তাঁকে হেনস্তা করেন।

ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান সুবর্ণা মুস্তাফা।

টিপ পরার কারণে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দারকে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি হেনস্তা ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনি শনিবার (২ এপ্রিল) শেরেবাংলা নগর থানায় এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লতা সমাদ্দার অভিযোগ করেছেন, শনিবার সকালে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় পুলিশের পোশাক পরা একজন ব্যক্তি তাকে "টিপ পরছোস কেন” বলে কটূক্তি করেন। তিনি তখন প্রতিবাদ জানালে গায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই পুলিশ সদস্য।

কি ঘটেছিল ?

এ বিষয়ে লতা সমাদ্দার বিবিসি বাংলাকে জানান, শনিবার সকালে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে থেকে পায়ে হেঁটে তিনি তার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। সেজান পয়েন্টের দিকে তিনি শুনতে পান, “টিপ পড়ছোস কেন” বলে একটা গালি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লতা সমাদ্দার বলেন, “আমি ঠিক পেছনে তাকিয়ে দেখি, একজন পুলিশ একটা বাইকের ওপর বসে আছে। আমি তার প্রতিবাদ করলে সে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে সে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে আমার শরীরের ওপর চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি সটকে যাই, কিন্তু তার বাইরের চাপা আমার পায়ে লাগে। আমার পা ইনজ্যুরড (আহত)।”

ওই সময় ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা তিনজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের কাছে গিয়ে বিস্তারিত খুলে বলেন তিনি। তারা মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তারা পারেনি। পরে তিনি কলেজে গিয়ে ভাইস প্রিন্সিপালকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। এরপর তিনি সহকর্মীদের সহায়তায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

লতা সমাদ্দার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমি কোন দেশে বাস করছি? নারীদের নিরাপত্তা কোথায়? একজন নারী টিপ পরবে, সেজন্য তার গালিগালাজ শুনতে হবে!”

তিনি বলেন, “আমি আমার স্বামীর সঙ্গেও যে ভাষা হয়তো শেয়ার করতে পারবো না। সাধারণ মানুষ নয়, কিন্তু পুলিশের পোশাক পরা একজন লোক যখন এইভাবে আমাকে আক্রমণ করলো, আমার আর কোনো ভাষা ছিল না। আমি এর বিচার চাই। আমি চাই প্রত্যেক নারী তার স্বাধীনতা নিয়ে, স্বতন্ত্রতা চলুক।”

আইনিউজ/এসডি

আইনিউজ ভিডিও

রোজার বাজারে ২ কেজি মাংসে ৪০০ গ্রাম কম দিলেন ব্যবসায়ী, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

নয় বছরের মেয়েটি কিভাবে নেভায় একের পর এক আগুন?

ঐতিহ্যবাহী আলী আমজাদ স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা 

বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দৌড়ে অন্ধ শিক্ষার্থীদের ক্ষিপ্রগতি দেখে সবাই মুগ্ধ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়