নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ১৮:৫৩, ৭ এপ্রিল ২০২২
‘কেউ না খেয়ে মারা গেছে, এই তথ্য দেখাতে পারলে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবো’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবি এবং বিএনপির ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিন টেলিভিশনের সামনে আসেন বাংলাদেশ ডুবে গেলো, বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরল। এরকম একটা অবস্থা। মনে হয় যে, বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ, শকুনেও লাশ খেয়ে শেষ করতে পারবে না। এমন একটা পরিস্থিতি বাংলাদেশে চলছে!
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এই তের বছরে একজন মানুষ না খেয়ে মারা গেছে, এই তথ্য কোনো সাংবাদিক দেখাতে পারলে আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবো।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বাগ-বানিয়াজুরী এলাকায় “ব্রি ধান ৯২” জাতের বীজ উৎপাদনকারী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫ লাখ নতুন শিশু এদেশে জন্মগ্রহণ করছে। এদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিতে আমাদের নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবন করতে হবে। দেশে কৃষি জমি কমে যাওয়ায় নতুন জাতের মাধ্যমে আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।”
খাদ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন, দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার নাই।
তিনি বলেন, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবি এবং বিএনপির ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিন টেলিভিশনের সামনে আসেন বাংলাদেশ ডুবে গেলো, বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরল। এরকম একটা অবস্থা। মনে হয় যে, বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ, শকুনেও লাশ খেয়ে শেষ করতে পারবে না। এমন একটা পরিস্থিতি বাংলাদেশে চলছে!
বিএনপি সরকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৩-০৬ সালে খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া ক্ষমতায় ছিল। এ সময় প্রতি বছর শত- শত মানুষ আশ্বিন-কার্তিক মাসে মঙ্গার কারণে না খেয়ে মারা গেছে। এই তেরো বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একজন মানুষ না খেয়ে মারা গেছে এই তথ্য কোনো সাংবাদিক দেখাতে পারলে আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবো।
ইতিহাস টেনে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৭১-এর যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশে সাড়ে সাত কোটি মানুষ। জমি ছিল মাথাপিছু ২৮ শতাংশ। এখন সতের কোটি মানুষ, জমি মাথাপিছু ১০ শতাংশ। আগে খাদ্য অভাব ছিল, খাদ্যঘাটতি ছিল। খাদ্যের জন্য সারা পৃথিবীতে আমরা খাদ্যের ঝুরি নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। অন্য দেশের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া মানুষকে খাওয়ানো কঠিন হয়ে যেত। তখন দেশে দুর্ভিক্ষ হতো। প্রতি বছর আশ্বিন-কার্তিক মাসে মঙ্গা হতো। কোনো মানুষের ঘরে খাবার থাকতো না। সেই বাংলাদেশে আজকে কোনো মানুষ দুই বেলার কম খায় না। সবাই দুই বেলার বেশি খায়। কোনো কোনো বছর খাদ্য উদ্বৃত্ত হচ্ছে। আমরা বহির্বিশ্বে তা রপ্তানি করছি। আমাদের এই সাফল্য এবং অর্জন সফল হয়েছে সরকারের দুরদর্শী নেতৃত্বে।
আইনিউজ/এসডি
আইনিউজ ভিডিও
রমজানেও ব্যবসায় ডাকাতি, শ্রীমঙ্গলের ২-৩ টাকার লেবু ঢাকায় হয়ে যায় ২০ টাকা
রোজার বাজারে ২ কেজি মাংসে ৪০০ গ্রাম কম দিলেন ব্যবসায়ী, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান
নয় বছরের মেয়েটি কিভাবে নেভায় একের পর এক আগুন?
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের