Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৯ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১০, ২৪ এপ্রিল ২০২২
আপডেট: ২০:৫৬, ২৪ এপ্রিল ২০২২

নিউমার্কেটে নাহিদকে হত্যায় সরাসরি জড়িতরা ছাত্রলীগের কর্মী

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় কুরিয়ারকর্মী নাহিদ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। তারা দুজনই ঢাকা কলেজের ছাত্র। থাকেন কলেজের একটি ছাত্রাবাসে। দুজনেই ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির একজন নেতার অনুসারী।

রবিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। শনাক্ত দুইজনের মধ্যে একজনের নাম কাইয়ুম, অন্যজনের নাম জানায়নি পুলিশ।

সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের দুইজনকে শনাক্ত করা হয়।

এ ছাড়া মঙ্গলবার ধারালো অস্ত্র হাতে যাদেরকে রাস্তায় দেখা গেছে তাদেরকেও শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। তারাও ঢাকা কলেজের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

পুরো সংঘর্ষের সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও ব্যবসায়ীদের পক্ষের দিকেও ধারালো অস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “অস্ত্রধারীদের প্রত্যেকের মাথায় ছিল হেলমেট। তাই শনাক্ত করতে সময় লাগছে।”

তিনি আরও বলেন, “ছবি দেখে মোট ১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কি-না, তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা কলেজের যেসব শিক্ষার্থী ধারালো অস্ত্র ও হেলমেট পরে সংঘর্ষে অংশ নেন, তাদের মধ্যে বেশি সক্রিয় ছিলেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির চার নেতার অনুসারীরা। এর মধ্যে নাহিদ হত্যায় জড়িতরা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জসীম উদ্দিন ও নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ফিরোজ হোসেনের অনুসারী।

ডিবি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার যারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ভাঙচুর ও সংঘর্ষে অংশ নেন, তারা মূলত ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামাদ আজাদ ওরফে জুলফিকার, সদস্য শফিক আহমেদ, জসীম উদ্দিন ও শাহীন সাদেক মীর্জার অনুসারী।

ডিবি জানিয়েছে, তারা সবাই সেদিন সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন। এর মধ্যে ধারালো অস্ত্র হাতে দেখা গেছে শাহীনকে।

সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন সামাদ আজাদ। তবে তার দাবি, সেদিন তিনি ছাত্রদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পুলিশের বাড়াবাড়ির কারণে তা সম্ভব হয়নি।

আইনিউজ/এসডি

আইনিউজ ভিডিও

বৃদ্ধ বয়সে নামাজ পড়তাম, ঘরে বসে খাইতাম, কে খাওয়াবে! | বৃদ্ধের কষ্ট

বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দৌড়ে অন্ধ শিক্ষার্থীদের ক্ষিপ্রগতি দেখে সবাই মুগ্ধ

শবে বরাত ভাগ্যরজনীর রাত, যে রাতে আল্লাহ মানুষের রিযেক-ধনদৌলত-আয়ু দান করেন

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়