Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১২ ১৪৩২

ডেস্ক রিপোর্ট:

প্রকাশিত: ১৭:০৩, ৮ জুন ২০২২
আপডেট: ১৭:০৬, ৮ জুন ২০২২

ফায়ার সার্ভিসের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আত্মাহুতি

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ছবি

সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন নয়জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন। এ ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনারর মতো একসঙ্গে এত সংখ্যক ফায়ার সার্ভিস কর্মীর আত্মাহুতি এই বাহিনীর প্রতিষ্ঠার পর আর দিতে হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, ফায়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হন ১৭ ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। এর মধ্যে  ১৯৮৯ সালে মো. মাহবুবুর নামের একজন, ১৯৯১ সালে মো. মুসলিম উদ্দিন, ২০০১ সালে মো. মাহাবুবুর হোসেন খান ও মো. জহিরুল হামিদ, ২০০৬ সালে আক্তার হোসেন, ২০০৮ সালে অমল চন্দ্র মণ্ডল, ফায়ার লিডার আব্দুর রশিদ ও ফায়ার সার্ভিসের ড্রাইভার আজিজ হাওলাদার দুর্ঘটনায় মারা যান। ২০০৯ সালে শেখ জালাল, ২০১৫ সালে ফায়ারম্যান মো. শাহ আলম, ২০১৩ সালে আবু সাইদ, ২০১৭ সালে আব্দুল মতিন, ২০১৯ সালে মো. সোহেল রানা, ২০২১ সালে ডুবুরি আব্দুল মতিন এবং ২০২১ সালে মো. মিলন মিয়া নিহত হন। নির্গেন্দু প্রসন্ন সিংহ ও আবুল কালাম আজাদ নামের দুজন ফায়ারকর্মীও মারা যান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাতেই।

এদিকে সীতাকুণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া ফায়ারকর্মীর সদস্যরা হলেন- মনিরুজ্জামান, আলাউদ্দিন, মো. রানা মিয়া, মো. শাকিল তরফদার, মিঠু দেওয়ান, নিপন চাকমা, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, রমজানুল ইসলাম ও মো. ইমরান হোসেন মজুমদার। শফিউল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও ফরিদুজ্জামান নামের তিনজন ফায়ারকর্মী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ভুল তথ্যে ভুল টিম পাঠিয়েছিলো ফায়ার সার্ভিস

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভুল তথ্য দেয়ার ফলে ভুল টিম পাঠিয়েছিলো ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগা কন্টেইনার ডিপোতে গার্মেন্টস পণ্য আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে ফায়ার কর্মীরা গিইয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেমে পড়েন। কিন্তু পরবর্তীতে সেখানে কেমিক্যালের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যার ফলে আগুন আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। এসময় মালিক পক্ষের কাওকেও পাওয়া যায়নি।  আগুন লাগার ১২ ঘণ্টা পরও কনটেইনারগুলোতে আসলে কী আছে, সে সম্পর্কে কিছু জানতেন না কর্মরত ফায়ার ম্যানরা। 

ঘটনার শুরুতে জানা যায় সেখানে গার্মেন্টস পণ্য রয়েছে। সেই হিসেবে আমাদের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে যান। কিন্তু আমরা জানতামই না সেখানে কেমিক্যাল রয়েছে। এটা না জানায় আমাদের লোকজন স্বাভাবিক আগুন নিয়ন্ত্রণের মতো ডিপোর ভেতরে প্রবেশ করে। তখনই একে একে কেমিক্যালভর্তি কনটেইনারগুলো বিস্ফোরিত হতে থাকে

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার বলছিলেন,

কেমিক্যালে সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত বিশেষ টিম রয়েছে। ১০০ থেকে ১৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত এ বিশেষ টিম। কিন্তু ভুল তথ্য পাওয়ার কারণে ওই টিমের সদস্যদের পাঠায়নি ফায়ার সার্ভিস। ফলে হারাতে হয়েছে ১২ জন ফায়ার কর্মীকে। যাদের মধ্যে ৩ জনের মরদেহ এখনো নিখোঁজ।

আইনিউজ/এইচএ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়