হেলাল আহমেদ
দখিনা দোয়ারে বহে স্বপনের হাওয়া

প্রতিকৃতি: আইনিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন পূরণ হয়েছে কোটি বাঙালির স্বপ্ন তেমনি অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য খুলেছে হাজারো নতুন স্বপ্নের দরজা। এ যেন, দখিনা দোয়ারে বইছে স্বপনের হাওয়া।
শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১১টা ৪৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত এটি ছিলো একটি স্বপ্ন, ছিলো অনেকগুলো তীরের তীব্র আঘাত। উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সেই আঘাতেরই জবাব দিলো বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ানো বিদেশী সংস্থাগুলোর সামনে বুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে আজ বাংলাদেশ বিষ্মিত করেছে গোটা বিশ্বকে। আর এই মহা স্বপ্নের কারিগর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
দক্ষিণাঞ্চলের একটি এলাকার ভ্যান চালক নুরু উদ্দিন তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আমাদের জন্য ভালো। এটা আমাদের গর্ব। সরকার পদ্মা সেতু করে দিয়েছে, আমাদের উন্নয়ন হবে। সহজে যাতায়াত করা যাবে। ঘাটে বসে থাকা লাগবে না। পদ্মা সেতু আমাদের জন্য সবদিক দিয়েই ভালো।
দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এনে অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সেতু নির্মাণ, শুরু হয় রাজনৈতিক বাদানুবাদ। উত্তাল-অস্থির সেই সময়ে অনমনীয় দৃঢ়তায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর প্রায় এক দশক পর তার হাতেই উদ্বোধন হলো স্বপ্নের সেতু। শত প্রজন্মের অসহায়ের মতো দেখে আসা প্রতিবন্ধকতায় আবদ্ধ সেই দক্ষিণাঞ্চল একটি মাত্র সেতুর বদৌলতে সমৃদ্ধির ছোঁয়া লেগেছে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিতির মধ্য দিয়ে স্বগর্বে ফিরেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগে যাকে ইস্তফা দিতে হয়েছিলো পদ থেকে। শনিবার (২৫ জুন) স্বপ্ন, সাহস ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সহাস্যে ছিলেন সেই আবুল হোসেনও।
বেলা ১১টার দিকে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করবেন সরকারপ্রধান। পদ্মা সেতু নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেয়ার কথাও রয়েছে তার। বেলা ১১টা ১২ মিনিটে টোল দিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাজিরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও স্বপ্নের পদ্মা সেতুর মাঝামাঝি এসে গাড়ি বহর থেকে নেমে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে কিছুসময় পদ্মা ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী। এসময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কিছু বিমান বহর স্মোক পাস প্রদর্শন ও ফ্লাই পাস্ট এবং বিভিন্ন রকম ডিসপ্লে প্রদর্শন করে।
এর আগে হেলিকপ্টার যোগে সকাল ১০টায় মুন্সিগঞ্জের দোগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১ এ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সুধীসমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সমাবেশে অংশ নেয় সাড়ে ৩ হাজার সুধীজন। যাদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিকরা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন। পরে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
দক্ষিণাঞ্চলের একটি এলাকার ভ্যান চালক নুরু উদ্দিন তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আমাদের জন্য ভালো। এটা আমাদের গর্ব। সরকার পদ্মা সেতু করে দিয়েছে, আমাদের উন্নয়ন হবে। সহজে যাতায়াত করা যাবে। ঘাটে বসে থাকা লাগবে না। পদ্মা সেতু আমাদের জন্য সবদিক দিয়েই ভালো।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা গোলাম কুদ্দুসের চোখেমুখেও খুশির ঝিলিক। তিনি বলেন, আমরা ভাগ্যবান। পদ্মায় সেতু হবে ভাবতে পারিনি। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য এটা বড় পাওয়া। ভালো লাগছে। বড় খুশি লাগছে। কয়েকদিন ধরে অনুষ্ঠানের আয়োজন দেখছি। অপেক্ষার পালা আজ শেষ হচ্ছে।
আইনিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের