Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৫ ১৪৩২

আইনিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩২, ৪ আগস্ট ২০২২

চলন্ত বাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতি: ভয়ঙ্কর সেই রাতের বর্ণনা

ঢাকাগামী চলন্ত বাসে দলব্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার রাজা মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মধুপুর আমলি আদালতের বিচারক বাদল কুমার চন্দ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রুমি খাতুন ভুক্তভোগী নারীর ধারা জবানবন্দী গ্রহন করেন।

আদালতের পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বলেন, পুলিশ আসামি রাজা মিয়ার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে। এ সময় আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাসে ডাকাতদের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রাথমিক আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

মেডিকেল বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহেনা পারভীন বলেন, ওই নারীকে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম পরীক্ষা করেছে। কিছু সাইন পজিটিভ আছে। সাইন অব স্ট্রাগল রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তার সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

যাত্রীদের মুখে ভয়ঙ্কর সেই রাতের কথা

ডাকাতি হওয়া ওই বাসের যাত্রী ছিলেন নাটোরের বড়াইগ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নাটোরের তরমুজ চত্বর থেকে বাসে উঠি। বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে নৈশভোজের জন্য বিরতি দেয়। তখন বাস থেকে নেমে অনেকেই হোটেলে খাবার খান। কড্ডার মোড়ে আসার পর ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী বাসে ওঠেন। তাদের প্রত্যেকেরই পিঠে ব্যাগ ছিল। বাসে উঠে তারা খালি সিটগুলোতে বসেন। বাসটি দ্রতগতিতে চলছিল। অনেক যাত্রীই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ডাকাত দল ঘুমন্ত যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে।’

‘প্রথমে তারা ছুরি ঠেকিয়ে ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজারকে বাসের পেছনের দিকে নিয়ে সিটের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। যাত্রীদের তারা অনেক নির্যাতনও করে। পরে যাত্রীদেরও হাত, চোখ, মুখ বেঁধে ফেলা হয়। শিশুদেরও একই কায়দায় বেঁধে রাখে তারা। পরে সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন, টাকা, গয়না লুট করে নেয়। এসময় মূল হোতার পাশে বসা নারীকে গণধর্ষণ করা হয়। হাত, মুখ, চোখ বাঁধা থাকায় অন্য যাত্রীরা কিছুই করতে পারেননি।’

আরোক যাত্রী দৌলতপুর থানার তারাগুনিয়া গ্রামের শিল্পী বেগম বলেন, ‘অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের সবাইরে হাত, মুখ, চোখ বেঁধে ডাকাতরা সব লুট করে নিয়েছে। আমার স্বামী পিয়ার আলীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করছে। আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়া গেছে।’ বাসে থাকা অন্য নারী যাত্রীও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানান তিনি।

সূত্রঃ ঢাকা টাইমস২৪, দেশরূপান্তর

 

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়