Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা

প্রকাশিত: ১৫:১০, ২৮ আগস্ট ২০২২
আপডেট: ১৫:১২, ২৮ আগস্ট ২০২২

ভিডিও ফাঁস!

ডিমলায় রাখঢাক না রেখে প্রকাশ্যেই ঘুষ নিচ্ছেন শিক্ষা কর্মকর্তা

অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ

অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ

নীলফামারীর ডিমলায় এক শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। তিনি নিজ অফিসে বসেই শিক্ষকদের সঙ্গে দর-কষাকষি করে প্রকাশ্যে ঘুষ নেন। এরপর ঘুষের টাকা গুনে গুনে হাসতে হাসতে নিজের পকেটে রাখেন। এরসবকিছু দেখা গেছে প্রকাশিত ভিডিওতে।

জানা যায়, ওই শিক্ষা কর্মকর্তার নাম নুর মোহাম্মদ। তিনি সরাসরি প্রধান শিক্ষকদের মোবাইলে ফোন করে নিজ অফিসে ডেকে ঘুষের এসব টাকা নেন। তার প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণের ভিডিওটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর পর থেকে উপজেলায়  গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছন

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা অভিযোগ করেছেন, উপজেলার ৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতি মেরামতে বরাদ্দ এসেছে দুই লাখ টাকা করে। ৯৯টি বিদ্যালয় পেয়েছে রুটিন মেইনটেন্যান্স বাবদ ৪০ হাজার টাকা । ২১৭ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্লিপ বাবদ পেয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এসব বরাদ্দের টাকা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার হিসাব নম্বরে আসার তিন দিনের মধ্যে সব বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বরে স্থানান্তরের সরকারি নির্দেশনাও ছিল। বরাদ্দের টাকা ৩০ জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বরে পাঠানোর কথা ছিল।

বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বর পরিচালিত হয় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে। কিন্তু ডিমলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ৩০ জুনের মধ্যে একটি বিদ্যালয়ের টাকাও বিদ্যালয় কতৃপক্ষকে দেন নি। সব টাকা তিনি নিজের অ্যাকাউন্টে রেখেছেন। টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নেওয়ার পর প্রধান শিক্ষকদের খবর দিয়েছেন টাকা তুলে নেওয়ার জন্য। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি শর্ত দেন- মেরামত কাজের জন্য ৮৮টি বিদ্যালয়কে ১২ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। পাশাপাশি স্লিপের টাকার চেকের জন্য বিদ্যালয় প্রতি ৫ হাজার, রুটিন মেইনটেন্যান্স চেক প্রাপ্তির জন্য বিদ্যালয় প্রতি ৬ হাজার করে টাকা দিতে হবে। সে অনুযায়ী উপজেলার ২১৭ টি প্রাথমিক স্কুল থেকে মোট ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, যেসব বিদ্যালয় ঘুষ দিতে অস্বীকার করছে, তাদের টাকা আটকে রাখেন শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ। ঘুষ ছাড়া বিল তো দূরের কথা, একটা কাগজও সই করেন না তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চালে শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘ট্রেজারি ও অডিট শাখায় কিছু টাকা দিতে হয়। হিসাবরক্ষণ অফিস আর অডিট কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে। ঘুষ লেনদেন অনেক আগে থেকেই চলমান। আমি হুট করে কি এটাকে বন্ধ করতে পারি?

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন খাতে ঘুষ দিতে হয়, এ টাকা কি আমি আমার বেতন থেকে দেব?

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

আইনিউজ/এইচএ

বিশ্বের মজার মজার গল্প আর তথ্য সম্বলিত আইনিউজের ফিচার পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি

দিনমজুর বাবার ছেলে মাহির বুয়েটে পড়ার সুযোগ || BUET success story of Mahfujur Rhaman || EYE NEWS

হানিফ সংকেত যেভাবে কিংবদন্তি উপস্থাপক হলেন | Biography | hanif sanket life documentary | EYE NEWS

আশ্চর্য এন্টার্কটিকা মহাদেশের অজানা তথ্য | Antarctica continent countries | facts। Eye News

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়