নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ১৭:০১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু | Eye News
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন আহমদ চুপ্পু।
আজ সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এর আগে গতকাল রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি চুপ্পু’র মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম চূড়ান্ত করেন। তাছাড়া, এই পদে আর কোনো মনোনীত প্রার্থীও ছিলেন না।
তবে মনোনয়নপত্র জমা দানের আগে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হবার দৌড়ে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার নাম ওঠে আসে। গুঞ্জন ওঠেছিল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নামও। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হলেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
এক নজরে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক এবং ১৯৬৮ সালে পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন।
পরের বছর পাবনার শহিদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। স্বাধীন বাংলা ছাত্রপরিষদের জেলা সভাপতি হিসেবে পাবনায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী তিনি।
চুপ্পু জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার প্রতিবাদ করায় ২০ আগস্ট সামরিক আইনের সাত ধারায় আটক হয়েছিলেন তিনি। সেখানে প্রায় তিন বছর কারারুদ্ধ ছিলেন সাহাবুদ্দিন।
পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে বিচার বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়। ওই সময় হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনাও ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে ‘কমিশন’ গঠন করেন, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত জীবনে প্রথম দিকে সাংবাদিকতাও করেছেন। দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বব্যাংকের কথিত পদ্মাসেতু সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করা সাহাবুদ্দিন চু্পপু অভিযোগটি মিথ্যা ও অন্তঃসারশূন্যতা প্রমাণে সমর্থ হন। তার দেয়া তদন্ত প্রতিবেদন কানাডা কোর্ট কর্তৃক সমর্থিত হয়।
চুপ্পু আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সাবেক যুগ্ম সচিব।
আই নিউজ/এইচএ
ঘুরে আসুন আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেল
নীচের ভিডিও দেখতে Watch on YouTube অপশনে ক্লিক করুন
এক চা শ্রমিকের লেখাপড়ার গল্প চোখে পানি এনে দেয়
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের