হলি আর্টিজেন ট্রাজেডির পর দেশে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এখন রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। সে জন্য তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে নিয়োজিত সব কূটনীতিককে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর কয়েকজন কূটনীতিককে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। সেটি এখন প্রয়োজন নেই। সে জন্য নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।’

‘আমাদের সরকার অত্যন্ত সফলভাবে জঙ্গিদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গি দমনে সক্ষমতায় আমরা অনেক উন্নত বড় দেশের চেয়েও বেশি সক্ষমতা দেখাতে পেরেছি।’

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটিও সু-স্পষ্ট করেছেন, কেউ যদি বাড়তি নিরাপত্তা সরকারের কাছে চায়; সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করে, তাদের সেটি দেওয়া যেতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো নেই, এটি রুটিন ওয়ার্ক।’

তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা জাতিসংঘে ‘দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ শিরোনামে প্রস্তাব হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় আজকে জাতিসংঘ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এবং তার সরকার পরিচালনার ধরণ এবং জনগণের জন্য তার যে কাজ এটিকে জাতিসংঘও স্বীকৃতি দেয়।”

• আগুন হাতে আসবেন না, হাত গুঁড়িয়ে দেব : কাদের 

মন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘে ১৬ তারিখে যখন ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ প্রস্তাবটি পাস হয়েছে, তখন আমাদের এখানে ১৭ তারিখ অর্থাৎ কাকতালীয়ভাবে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন। বিশ্বের ৭১টি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রস্তাব কো-স্পন্সর করেছে যা জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘মোখা’র মতো রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি ঝড় আসছে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয়, একটি প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় আমাদের দেশের উপকূলে আঘাত হানার পূর্বক্ষণে মানুষ যখন আতঙ্কিত-শঙ্কিত, মানুষ যখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত, সে সময় সেটিকে নিয়ে রাজনীতির সঙ্গে মেলানো এবং উপহাস করা একজন রাজনীতিবিদের সাজে না।’

‘এখন তো মোখা পাশ কাটিয়ে চলে গেছে, ‘মোখা’র মতোই বিএনপির আন্দোলনও পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হাঁটা শুরু করছে, হাঁটুক। ওনারা কিছুদিন আগে হেঁটেছেন এখন আবার সমাবেশ করবেন বলছেন, আবার পদযাত্রা কর্মসূচিও নাকি দেবেন। ওনারা হাঁটাহাঁটি করলে ভালো।’

আই নিউজ/এইচএ