Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩২

হেলাল আহমেদ, আই নিউজ

প্রকাশিত: ১২:০৭, ২৭ জুন ২০২৩

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কোন গ্রেডে কতো বাড়ছে? 

উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিশেষ পরিস্থিতিতে দেশের সরকারি চাকুরেদের প্রণোদনা হিসেবে মূল বেতনের ৫ শতাংশ বাড়তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে করে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকেই বাড়তি পেতে যাচ্ছেন সরকারি চাকুরেরা। তবে গ্রেড ভিত্তিক সরকারি চাকরীতে কোন গ্রেডে কতো বাড়ছে তা নিয়ে অনেকেই জানেন না।

কয়েক বছর ধরে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন প্রতিবছর গ্রেডভেদে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশের মতো বৃদ্ধি হয়। এক্ষেত্রে গ্রেড ৬ থেকে ২০ পর্যন্ত পদে ৫ শতাংশ বেতন বাড়ে। এর ওপরের গ্রেডে বৃদ্ধির হার কিছুটা কম। ঘোষণা ছাড়াই এটা জুলাই থেকে মূল বেতনের সঙ্গে যোগ হয়। 

আই নিউজের আজকের এই প্রতিবেদনে জানাবো- আগামী জুলাই মাস থেকে সরকারি চাকরীতে কোন গ্রেডে আসলে কতো টাকা বেতন বৃদ্ধি পাবে। কোন কোন গ্রেডের চাকরিজীবীরা সরকারি বেতন বৃদ্ধির এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। 

কোন গ্রেডে কতো পাবেন কারা বাদ যাবেন
শুরুতেই একটা কথা জানিয়ে রাখা ভালো সরকারি চাকরীর ক্ষেত্রে দক্ষতা হোক নিম্নগামী বা উর্ধ্বগামী চাকরিজীবীরা ইনক্রিমেন্ট পাবেন ২০ তম গ্রেডের কর্মচারী থেকে শুরু করে ১ম গ্রেডের কর্মকর্তা পর্যন্ত। তবে সিলিংয়ে পৌছে থাকলে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী আর কোন সুবিধা পান না। অর্থাৎ এরপর আর বেতন বৃদ্ধি হয় না।

আরও সহজ করে বললে যেমন সরকারি চাকরীতে ১নং গ্রেডের কোন বেতন বৃদ্ধি নেই। ২নং গ্রেডে ৫টি ইনক্রিমেন্ট রয়েছে। ৩নং গ্রেডে ৮টি ইনক্রিমেন্ট রয়েছে। ২০ নং গ্রেডে ১৯টি ইনক্রিমেন্ট রয়েছে। প্রতি ইনক্রিমেন্ট এ ৫% হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বেতন বৃদ্ধিতে অখুশি নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরা 
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এটি জানানো এখনো স্পষ্ট করে জানানো হয়নি জুলাই থেকে সরকারের কোন কোণ গ্রেডের চাকুরেদের বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে বেতন বৃদ্ধির এ খবরে কিছুটা অসন্তুষ্ট সরকারের ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা মনে করেন, বিদ্যমান বেতন কাঠামোতে তাঁরা বৈষম্যের শিকার। এ কাঠামো রেখে যত কিছুই করা হোক, মূল সুবিধা উচ্চ গ্রেডের কর্মচারীরা পাবেন।

বাজেটকে কেন্দ্র করে কর্মচারীরা নতুন পে-স্কেল প্রণয়ন কিংবা পে-স্কেল না হলে নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের বৈষম্য কমিয়ে বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন। সরকার ঘোষিত সাময়িক প্রণোদনায় কোনো দাবিই পূরণ হয়নি বলে মনে করছেন তাঁরা।

যে কারণে বাড়ানো হচ্ছে বেতন 
আগামী অর্থবছরের জন্য বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে এসে ঠেকেছে। গত বছর জুন থেকে মে মাস পর্যন্ত এক বছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশে।

গতকাল শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মূল্যস্ফীতিজনিত যন্ত্রণা কমানোর জন্যই সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ৫ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সবার খোঁজ রাখেন। তবে আরও ৫ শতাংশ বাড়ালে মঙ্গল হতো। কারণ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই প্রধানমন্ত্রী ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আছে শুভংকরের ফাঁকি 

এদিকে বেতন বৃদ্ধির হিসাবকে শুভংকরের ফাঁকি হিসেবে অভিহিত করছেন কর্মচারী সংগঠনগুলোর নেতারা। তাঁরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে ইনক্রিমেন্ট হবে, এটি গত পে-স্কেলের সিদ্ধান্ত ছিল। সরকার ইনক্রিমেন্ট না দিয়ে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, অর্থাৎ এটি সাময়িক উদ্যোগ। ভবিষ্যতে নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করলেও এটি যোগ হবে না। তাই সামগ্রিকভাবে নতুন ঘোষিত প্রণোদনায় খুশি নন কর্মচারীরা।

তারা বাজেটকে কেন্দ্র করে কর্মচারীরা নতুন পে-স্কেল প্রণয়ন কিংবা পে-স্কেল না হলে কর্মচারীদের বৈষম্য কমিয়ে বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়