Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫১, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

আমেরিকায় বাড়ি: এস কে সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২২ জানুয়ারি

সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা। ফাইল ছবি

সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহা। ফাইল ছবি

দেশের রাজনীতিতে আলোচিত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। আমেরিকায় তাঁদের বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ মামলা করে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান নতুন এ দিন ধার্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে তিনতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় গত ৩১ মার্চ এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জুন দুই লাখ ৮০ হাজার ডলারে (৮৬ টাকা ডলার হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় দুই কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার) এস কে সিনহার জন্য তিনতলা একটি বাড়ি কেনেন তার ভাই অনন্ত কুমার। বাড়িটি কেনার আগে ৩০ বছরের কিস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে অনন্ত সিনহা নিজের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যাংক ঋণ নিয়ে আরো একটি বাড়ি কিনেছিলেন। পেশায় দন্ত চিকিৎসক অনন্ত প্রথম বাড়িটি ৩০ বছরের কিস্তিতে কিনলেও নিজের ভাইয়ের জন্য বাড়ি কেনেন নগদ টাকায়

মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত অনন্ত কুমার সিনহার নিউ জার্সির প্যাটারসনে অবস্থিত ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি হিসাবে ৬০ হাজার ডলার জমা হয়। ঐ একই হিসাবে অন্য একটি উৎস থেকে একই বছরের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৮ ডলার জমা হয়। এস কে সিনহার বাড়ি কেনার বা বিদেশে অর্থপাচারে বৈধ কোনো উৎসের সন্ধান পায়নি সংস্থাটি। 

দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে, এস কে সিনহা বিভিন্ন সময়ে ঘুষ হিসেবে যেসব টাকা নিয়েছেন তা বিদেশে পাচার করেছেন। দুদক তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনে।

এর আগে, ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সাবেক প্রধান বিচারপ্রতি এসকে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এর মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত আর অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। 

তবে, দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে ১৮২ পাতার রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়