Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৬ ১৪৩২

আই নিউজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ৫ নভেম্বর ২০২৩

আন্দোলন মাথায় নিয়েই খুলেছে পোশাক কারখানা

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চলমান আছে এখনো।

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চলমান আছে এখনো।

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গেল সপ্তাহ থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও সংঘর্ষে জড়ান বিভিন্ন কারখানার পোশাক শ্রমিকরা। আন্দোলন চলমান আছে এখনো। এসব আন্দোলনে এ পর্যন্ত দুই জন শ্রমিক নি হ ত হয়েছেন। তবে, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে বন্ধ হওয়া অধিকাংশ পোশাক কারখানা শনিবার থেকে খুলেছে। আন্দোলন না থামায় শনিবারও ২৯টির মতো কারখানায় ছুটি ছিল। 

শনিবার সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা ও গাজীপুর সদরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন। দুই জায়গায় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহতও হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। যাদের মধ্যে দুই জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার ফটকে ভাঙচুর চালিয়েছেন। 

এদিকে, মালিকপক্ষ নতুন্ম করে কত টাকার মজুরি প্রস্তাব করবে তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেন নি তারা। জানা গেছে, মজুরিসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতৃবৃন্দ। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছিলেন, আগামী মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) মজুরি বোর্ডের পরবর্তী সভা হবে। সেই সভায় শ্রমিকদের মজুরি চূড়ান্ত হবে। তবে, নিম্নতম মজুরি বোর্ড শনিবার রাত নয়টা পর্যন্ত পরের সভা বিষয়ক কোনো নোটিশ জারি করেনি। 

অপরদিকে, শ্রমিকদেরকে এমন অবস্থায় শ্রমিকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম। দেশের শীর্ষ স্থানীয় সংবাদ পত্রিকা প্রথম আলোর কাছে মালিকপক্ষের এই নেতা জানান, মালিকপক্ষের নতুন করে মজুরি প্রস্তাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পরও পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলন পুরোপুরি থামেনি।

তিনি বলেছেন, শিল্পের বাইরের কিছু লোকজন শ্রমিকদের উসকানি নিয়ে রাস্তায় নামাচ্ছে, কারণ, এর পেছনে তাদের স্বার্থ আছে। 

তবে শ্রমিকদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি উল্লেখ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, নূন্যতম মজুরি বোর্ডে আলাপ-আলোচনা শুরুর প্রায় ছয় মাস পর প্রথম প্রস্তাব পাওয়া যায়। তবে মালিকদের থেকে যে প্রস্তাব পাওয়া গেল, সেটি অনেক কম। শ্রমিকদের বিবেচনায় তো বটেই, গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরাও মালিকদের মজুরি প্রস্তাবকে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম বলে মনে করছি। 

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়