আই নিউজ ডেস্ক
বিএনপির অবরোধ: ২৪ দিনে পুড়ল ১৮৫ যানবাহন, ১৫ স্থাপনা

২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে গড়ে ৭টি যানবাহনে আগুন লাগে। ছবি- সংগৃহীত
অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল, অবরোধ কর্মসূচি চলছে এখনো। তফসিল ঘোষণার পরও অবরোধ, হরতালের মতো কর্মসূচি নিয়েই মাঠে আছে বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠন। হরতাল, অবরোধে প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও গাড়িতে আগুন দিচ্ছেন দুর্বৃত্তরা। এক তথ্য বলছে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ২৪ দিনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে সারাদেশে ১৮৫টি যানবাহন এবং ১৫টি স্থাপনা পুড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানান।
মিডিয়া সেলের এ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে গড়ে ৭টি যানবাহনে আগুন লাগে। এরমধ্যে প্রায় পাঁচটি করে বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আগুনের ঘটনা বেশি থাকলেও মিরপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি। মোট ৩৪ জেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ৬০টি উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে জেলা হিসেবে গাজীপুর আর উপজেলা হিসেবে বগুড়া সদরে আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। এসব আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৪১টি ইউনিট ও ১ হাজার ৮৮৮ জনবল কাজ করেছে।
এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩১ অক্টোবর ১২টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর ২টি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর ৭টি, ১০ নভেম্বর ২টি, ১১ নভেম্বর ৭টি, ১২ নভেম্বর ৭টি, ১৩ নভেম্বর ৮টি, ১৪ নভেম্বর ৪টি, ১৫ নভেম্বর ৬টি, ১৬ নভেম্বর ৭টি, ১৮ নভেম্বর ৬টি, ১৯ নভেম্বর ১৩টি, ২০ নভেম্বর ৬টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
তালহা বিন জসিম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ২৪ দিনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পুড়ে যায়। যানবাহনের মধ্যে মোট বাস ১১৮টি, ট্রাক ২৬টি, কাভার্ড ভ্যান ১৩টি, মোটরসাইকেল ৮টি, প্রাইভেটকার ২টি, মাইক্রোবাস ৩টি, পিকআপ ৩টি, সিএনজি ৩টি, ট্রেন ২টি, নছিমন ১টি, লেগুনা ৩টি, ফায়ার সার্ভিস এর পানিবাহী গাড়ি ১টি, পুলিশের গাড়ি ১টি, অ্যাম্বুলেন্স ১টি, বিএনপি অফিস ৫টি, আওয়ামী লীগ অফিস ১টি, পুলিশ বক্স ১টি, কাউন্সিলর অফিস ১টি, বিদ্যুৎ অফিস ২টি, বাস কাউন্টার ১টি, শোরুম ২টি আরও ২টি স্থাপনা পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়, এছাড়া দেশের ৩৪টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটে বাকি ৩০ জেলায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক কোনো অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৯৫টি, ঢাকা বিভাগে ৩৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, রংপুর বিভাগে ৭টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২টি, সিলেট বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মিরপুর এলাকায় ১৭টি, গুলিস্তানে ৯টি, নয়াপল্টন-কাকরাইল এলাকায় ৭টি, খিলগাঁও-মুগদা এলাকায় ৭টি, পোস্তাগোলা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৭টি, মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় ৫টি, মোহাম্মদপুরে ৪টি, বারিধারা এলাকায় ৪টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।
এদিকে জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুরে ১৬টি, চট্টগ্রামে ১৪টি, বগুড়া ১৩টি, নারায়ণগঞ্জ ৬টি, মানিকগঞ্জ ৪টি, ফরিদপুর ৪টি, লালমনিরহাট ৪টি, নাটোর ৪টি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।
উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বগুড়া সদরে ৮টি, গাজীপুর সদরে ৬টি, নারায়ণগঞ্জ সদরে ৪টি, ফেনী সদরে ৩টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৪টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক অগ্নি নির্বাপণ কার্যক্রমে সারাদেশে ফায়ার সার্ভিসের দুইজন ও তিনজন সাধারণ মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসব অগ্নিকাণ্ডে নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের