Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

আই নিউজ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২৭, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

দেশে একটি পরিবারের মাসে গড় আয় ৩২ হাজার টাকা, ব্যয় ৩১ হাজার 

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

দেশের একটি পরিবার মাসে গড় আয় করে সাড়ে ৩২ হাজার টাকা। আয়ের বিপরীতে একটি পরিবারের ব্যয় হয় সাড়ে ৩১ হাজার টাকা। যার মানে হচ্ছে, একটি পরিবার মাস শেষে এক হাজার টাকা জমাতে পারেন বা তাঁদের কাছে উধ্বৃত থাকে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে’ (এইচআইইএস) ২০২২ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। 

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন— ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এনডিসি, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. মো. কাউছার আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ এমপিএইচ।

প্রতিবেদনে বিবিএস  জানায়, দেশের প্রতিটি খানার গড় আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এইচআইইএস ২০২২ জরিপের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী খানার মাসিক গড় আয় ৩২ হাজার ৪২২ টাকা। যা ২০১০ ও ২০১৬ সালের জরিপে ছিল যথাক্রমে ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা এবং ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। এ ছাড়া, এইচআইইএস ২০২২ অনুযায়ী গতবারের তুলনায় এবার প্রতিটি খানার মাসিক আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে মাসিক ব্যয়ও বেড়েছে। এইচআইইএস ২০২২ অনুযায়ী, বর্তমানে একটি খানার মাসিক ব্যয় ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। যা ২০১০ ও ২০১৬ সালে ছিল যথাক্রমে ১১ হাজার ২০০ টাকা এবং ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা।

বিবিএস আরও এইচআইইএস ২০২২ এর তথ্য-উপাত্ত নিরীক্ষণে দেখা যায় খানায় খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত ব্যয়ের ধারায় পরিবর্তন হয়েছে। খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০২২ সালে খাদ্য ব্যয়ের শতকরা হার ৪৫.৮ শতাংশ, এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ৫৪.২ শতাংশ। যেখানে ২০১৬ সালে খাদ্যের জন্য ব্যয় ছিল ৪৭.৭ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ৫২.৩ শতাংশ। 

২০২২ সালে চালের দৈনিক মাথাপিছু গড় ভোগের পরিমাণ ছিল ৩২৮.৯ গ্রাম; যা ২০১৬ সালে ছিল ৩৬৭.২ গ্রাম এবং ২০১০ সালে ছিল ৪১৬.০ গ্রাম। ২০০৫ সালে ছিল ৪৩৯.৬ গ্রাম এবং ২০০০ সালে ৪৫৮.৫ গ্রাম। 

অন্যদিকে, সবজি ও মাংসের ব্যবহার ধীরে ধীরে বেড়েছে বলে জানায় বিবিএস। প্রতিবেদনে আরও বলা গয়, প্রোটিন গ্রহণের গড় পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী দৈনিক মাথাপিছু প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ ৭২.৫ গ্রাম, যা ২০১৬ সালে ছিল ৬৩.৮ গ্রাম। এছাড়া  ২০১০ সালে ৬৬.২৬ গ্রাম, ২০০৫ সালে ৬২.৫২ গ্রাম ও ২০০০ সালে ছিল ৬২.৫০ গ্রাম ছিল। 

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়