Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১০, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
আপডেট: ১২:২২, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪

বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করা রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে যা বলল আমেরিকা

আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ছবি- সংগৃহীত

আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার করা বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকা। 

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই আহ্বান জানিয়েছেন আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।

ম্যাথু মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে আটক রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য সরকার বিরোধী দল বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ২৫ হাজার বিরোধী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। নির্বাচনের আগে দেওয়া ভিসা নীতির পরিপ্রেক্ষিতে গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করায় সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ কী? 

ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আপনারা আমাকে আগেও বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগে প্রকাশ করতে দেখেছেন। আমরা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে এমন প্রমাণ খুঁজে পাইনি। সেই নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যের গ্রেপ্তার নিয়েও আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।’

ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমি দুটি জিনিস বলব। প্রথমত. গ্রেপ্তারকৃত সবার জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বিরোধী দলের সদস্য, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক জীবনে অর্থপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই এবং বিষয়টি এগিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাব।’ 

অপর এক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে মিলে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে এমনটাই বলা হয়েছে কানাডার এক তদন্তে। ওই তদন্তে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়টিও উঠে এসেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁদের প্রতি ভারত সমর্থন দিয়েছিল। সমালোচকদের দাবি, ভারতীয় প্রভাবের কারণে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র উন্নয়নের প্রক্রিয়া পিছিয়ে পড়ছে। এ নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? 

ম্যাথু মিলার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। এটা কানাডার বিষয়। আমি বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, বাংলাদেশসহ অন্য সব দেশের জন্যই শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গণতন্ত্র জরুরি। এটি (গণতন্ত্র) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আছে এবং আমরা গণতান্ত্রিক নীতিগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশি সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখেছি। এই প্রক্রিয়া বাংলাদেশিদের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতের মূলমন্ত্র।’

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়