আই নিউজ ডেস্ক
ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে ডুবছে কুমিল্লা

কুমিল্লায় বন্যায় প্লাবিত এলাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের চিত্র।
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে কুমিল্লায় গোমতী নদী। নদীর পানি অস্বাভাবিক গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন অনেকেই। যাদের কোথাও যাওয়ার নেই তারা বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকেই টানা বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলের পানিতে অস্বাভাবিক রূপ নেয় গোমতী নদী। নদীতে পানির বেগ বাড়লে প্লাবিত হয় একাধিক লোকালয়। সেনাবাহিনীর একাধিক টিম নদী রক্ষা বাঁধ পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।
জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোথাও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা সে দিকটি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বাঁধের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সাময়িক মেরামত করা হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণ ও ভারতীয় ঢলে সীমান্তবর্তী চৌদ্দগ্রাম, বুড়িচং, দেবিদ্বার উপজেলা ও কাঁকড়ি এবং গোমতি নদীর বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছেন এসব এলাকার প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। নাঙ্গলকোট উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ডাকাতিয়া নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ দুই দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে গোমতি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, ‘গোমতী নদী রক্ষা বাঁধের যেখানে সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেখানে বালুর বস্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এভাবে পানি ক্রমাগত বাড়তে থাকলে বাঁধের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।’
তিনি নদীপাড়ের মানুষজনকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছি। বাঁধে ফাটল বা ঝুঁকি আছে এমন পরিস্থিতি দেখলে তা পাউবো কিংবা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন পাউবো’র এই কর্মকর্তা
পাউবো সংশ্লিষ্টরা বলেন, জেলার আদর্শ সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি এলাকার গোমতী চর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিগার সুলতানা জানান, বাঁধের কিছু অংশ ঝুঁকিপূর্ণ। সকাল থেকে বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
এদিকে, জেলার আদর্শ সদর উপজেলায় গোমতী চরে পানিবন্দি লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের সহায়তায় তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন।
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের