নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের সব নদীতে পানি বিপদসীমার উপরে, ভাঙছে বাঁধ
মৌলভীবাজারে বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধের ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা।
টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মৌলভীবাজারের সব নদ-নদীতে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একাধিক জায়গায় নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। খবর আসছে নতুন নতুন জায়গা থেকে বাঁধ ভাঙার। জেলার নানা উপজেলায় বন্যার কবলে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৯টায় মনু নদীর পানি চাঁদনীঘাট পয়েন্টে ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ফলে পানি হু হু করে বাড়ছে। ইতিমধ্যে মনু নদীর ৫টি ও ধলাই নদীর ৮টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙা স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহম্মদ ছাদু মিয়া বলেন, বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন ৪৩২৫ জন। বন্যার্তদের সহায়তায় ১০৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মনু নদীর পানি চাঁদনীঘাট পয়েন্টে ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ সিরাজী বলেন, বন্যার পানিতে ১৬৫০টি পুকুর ও দিঘী থেকে ২১০ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়াসহ নানা জায়গায় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে বাড়িঘর তলিয়ে গেছে পানিতে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন জেলার কয়েক হাজার মানুষ। বন্যার এই পরিস্থিতি জেলায় বন্যা কবলিত মানুষদের ত্রাণ সহায়তায় ২৩৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে সরকার।
বুধবার (২১ আগস্ট) মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যাল্য থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এতে দেখা যায়, জেলার প্রত্যেকটি উপজেলার জন্য পৃথক পৃথকভাবে মোট ২৩৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
কমলগঞ্জ উপজেলার বন্যার্তদের মধ্যে বিজিবির ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।
বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, বড়লেখা উপজেলার বন্যা কবলিতদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪০ মেট্রিক টন চাল। জুড়ী উপজেলার জন্য ৩০ মেট্রিক টন, কুলাউড়া উপজেলার জন্য ১৫ মেট্রিক টন, রাজনগর উপজেলার জন্য ৩০ মেট্রিক টন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জন্য ৫০ মেট্রিক টন, শ্রীমঙ্গল উপজেলার জন্য ২০ মেট্রিক টন এবং কমলগঞ্জ উপজেলার জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বলেন, শহর রক্ষায় ও মানুষের জানমাল রক্ষা করতে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে তদারকি করছেন সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম ও মৌলভীবাজারের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মোমিন।
উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে নদীর বাঁধ রক্ষায় সতর্ক পাহাড়া দিচ্ছেন মৌলভীবাজারের বাসিন্দারা।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর শহরকে রক্ষার জন্য শহরের সেন্ট্রাল রোড এলাকায় জিও ব্যাগ ভরাট কাজ চলমান আছে। সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম ও মৌলভীবাজার এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিএম আব্দুল মোমিন কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের