আই নিউজ ডেস্ক
গাজীর কারখানায় নিখোঁজ ১৩২ জনের তালিকা করেছে শিক্ষার্থীরা

ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত ছয়তলা ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান শুরু করেনি ফায়ার সার্ভিস।
ঢাকার অদূরে রুপগঞ্জে গাজী টায়ার্সের কারখানায় নিখোঁজদের কোন হিসাব এখনো করতে পারেনি প্রশাসন। বুধবার (২৮ আগস্ট) পর্যন্ত ১৩২ জনের তালিকা করেছে শিক্ষার্থীরা।
আগুনের ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত ছয়তলা ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান শুরু করেনি ফায়ার সার্ভিস। ভবনটিতে প্রবেশ করা নিরাপদ কিনা সেটি পরীক্ষা করতেও আসেনি গণপূর্ত বিভাগ। যদিও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যেকোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে ছয়তলা ওই ভবনটি।
এতে অপেক্ষার সময় বেড়েছে আগুনের সময় ভবনটিতে আটকে পড়া মানুষদের স্বজনদের। গাজী টায়ার্সের রাবার মিক্সার ভবনটিতে এখনও থেমে থেমে জ্বলছে আগুন। দিনভর সেই আগুন নেভাতেই চেষ্টা চালিয়ে গেছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনের ভেতরে প্রচুর কেমিক্যাল ও দীর্ঘ সময় আগুনের তাপে ভবনটি এখন নাজুক।
বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি কারখানাটি পরিদর্শন করেছে। তারা জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্থানীয় জনবলের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান চালানোয় সক্ষম না হলে জাতীয়ভাবে অভিজ্ঞদের সহযোগিতা চাওয়া হবে।
কমিটির প্রধান হামিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ২৫ আগস্ট কিছু অনুপ্রবেশকারী কারখানাটিতে ঢুকে লুটপাট চালায়, তারা ভবনটির বিভিন্ন তলায় ছড়িয়ে পড়ে। রাতের কোনো একটা সময় ভবনটিতে আগুন দেওয়া হয় নিচতলায়। তখন অনেকে ভবনটিতে আটকা পড়েন, তারা মারা গেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
নিখোঁজদের ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালিকা করা হয়েছে জানালেও কতজন তালিকাভুক্ত হয়েছেন সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা জানাননি তিনি। হামিদুর বলেন, যারা এসে বলেছেন তার স্বজন নিখোঁজ আছেন তাদের নাম-ঠিকানা আমরা লিপিবদ্ধ করছি। আমরা সঠিক সংখ্যা বলতে পারছি না।
তদন্ত কমিটির প্রধান আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের ড্রোন, বড় মই (টিটিএল) দিয়ে ভবনের ভেতরে একাধিকবার অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। ভবনটির চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত মেঝে ধসে পড়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো মরদেহের সন্ধান মেলেনি।
স্থানীয়রা বলছেন, ৫ আগস্ট থেকে গাজী গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানে লুটপাট শুরু করে দুবৃত্তরা। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীরের গ্রেপ্তার হবার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ২৫ আগস্ট দুপুরে আবারও শুরু হয় লুটপাট। রাবার মিক্সার ভবনে লুট করতে ঢোকে এক গ্রুপ। আর অন্য গ্রুপটি লুটের মাল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় এক গ্রুপ নিচে আগুন দিলে ভবনের ওপরে আটকা পড়ে আরেক গ্রুপ।
ভবনটিতে কতো মানুষ নিখোঁজ রয়েছে তার কোন হিসেব নেই প্রশাসনের কাছে। বিকেলে জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি কারখানাটি পরিদর্শন করেছে। তবে, শিক্ষার্থীরা ১৩২ জন নিখোঁজের একটি তালিকা করছে। তবে তারাই বলছে, সংখ্যাটি হবে দুইশরও বেশি।
কারখানার সামনে তিন দিন ধরে আহাজারি করছে নিখোঁজদের স্বজনরা। কারখানাটিতে কত হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে তারও কোনো হিসাব নেই। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে গণমাধ্যমে কথা বলার মতোও কাউকে মেলেনি। অমানবিক এমন পরিস্থিতিতেও লুটপাট থেমে নেই । যে যেভাবে পারছে কিছু না কিছু লুট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আই নিউজ/এইচএ
- কাল থেকে যেসব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট
- 'জাতীয় মুক্তি মঞ্চ' গঠনের ঘোষণা
- এক বছরেই শক্তি, ক্ষিপ্রতা জৌলুস হারিয়ে 'হীরা' এখন বৃদ্ধ মৃত্যুপথযাত্রী
- ওয়াহিদ সরদার: গাছ বাঁচাতে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক
- ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ইতিকথা (প্রথম পর্ব)
- এবার ভাইরাস বিরোধী মাস্ক বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো বাংলাদেশ
- মায়েরখাবারের জন্য ভিক্ষা করছে শিশু
- ২৫ কেজি স্বর্ণ বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৩ কত তারিখ
- তালিকা হবে রাজাকারদের