প্রাণ-প্রকৃতি
আপডেট: ১৯:৫০, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
তৌহিদ পারভেজ বিপ্লবের ক্যামেরায় সুন্দরবনের চিত্রা হরিণ
ছবি: তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব
তরুণ ফটোগ্রাফার তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব। ছবি তুলতে পছন্দ করেন। পেশায় না হলেও ফটোগ্রাফি তার নেশায় পরিণত হয়েছে। ছবি তোলা তার ভালোবাসার একটি জায়গা। তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব বগুড়া ফটোগ্রাফি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তাঁর তোলা ছবি ইংল্যান্ডের ডেইলি মেইল, আমেরিকার ইনসাইডার ও ফোর্বস, মেক্সিকোর ইউনিভিশন, অস্ট্রেলিয়ার ডাই প্রেসসহ ইন্টারন্যাশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। পেয়েছেন অনেক পুরস্কারও। সম্প্রতি ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ঘুরে ঘুরে সেখানকার প্রকৃতি ও প্রাণবৈচিত্র্যের ছবি তুলেছেন। আইনিউজের পাঠকদের জন্য সেখান থেকে কিছু ছবি দেওয়া হলো।
হরিণের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও পরিচিত প্রজাতি হলো চিত্রা হরিণ। এদের হলুদ, হালকা বা গাঢ় বাদামি পিঠ জুড়ে থাকে সাদা রঙের গোল গোল ফোঁটা। প্রধানত সুন্দরবন এদের আবাসভূমি। এই ছবিটিও সুন্দরবন থেকে তোলেছেন ফটোগ্রাফার তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখা সর্বত্র পাওয়া না গেলেও চিত্রা হরিণ প্রায়শই দেখা যায়। সুন্দরবনে চিত্রা হরিণের সংখ্যা এক থেকে দেড় লাখের মতো বলে ধারণা করা হয়।
ঘাস, গুল্ম আর গাছের পাতা চিত্রা হরিণের প্রধান খাদ্য। গাছের বাকল ও মূলও এরা খায়। বানর ও হনুমান অনেকসময় গাছের ডালপালা ও ফল নিচে ফেলে আর এরা তা খায়। এরা পেছনের দুপায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ায় আর গাছের নিম্নবর্তী ডালগুলো থেকে কচি পাতা ছিঁড়ে খায়। পুরুষ হরিণের ক্ষেত্রে এ অভ্যাসটা বেশি দেখা যায়।
অনেকসময় এরা এদের পড়ে যাওয়া শিংও খায়। সুন্দরবনের চিত্রা হরিণ মূলত কেওড়া, বাইন, গেওয়া, ওড়া, গরান, এবং কাঁকড়া গাছের ছোট চারা ও কচি পাতা এমনকি ছাল (বাকল) খেয়ে থাকে।
কেবলমাত্র পুরুষ হরিণের শিং থাকে। সাধারণ শিঙের দৈর্ঘ্য ২২ থেকে ২৭ ইঞ্চি হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে ৭৫ ইঞ্চি (প্রায় আড়াই ফুট) পর্যন্তও হয়। শিং শাখা-প্রশাখা যুক্ত, সর্বমোট তিনটি শাখা দেখা যায়। হরিণের শিং অনেকসময় পড়ে যায় আর আবার গজায়। শিং গজানো এবং শিং পড়ে যাবার সময়সীমা এক অঞ্চলে একেক রকম।
চিত্রা হরিণী ২১০-২২৫ দিন গর্ভধারণের পর একটিমাত্র বাচ্চা প্রসব করে। শিশু হরিণ ৬ মাস পর্যন্ত স্তন্য পান করে। স্ত্রী হরিণ ১৪-১৭ মাসে (কারো কারো মতে ১০ মাসে) বয়োঃপ্রাপ্ত হয়। অপরদিকে পুরুষ হরিণ ১৪ মাসে বয়োঃপ্রাপ্ত হয়।
এরকম একটি হরিণ শাবক ক্ষুধার্থ বাঘের সামনে খাদ্যের বাইরে আর কিছুই নয়।
তবে খারাপ বিষয় হচ্ছে, ঈদের সময় হরিণের মাংসের চাহিদা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় হরিণ শিকারীদের তৎপরতা বেড়ে যায় সুন্দরবনে। যদিও শিকারীদের নিরুৎসাহিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
বাঘের তাড়া খাওয়া একদল হরিণ প্রাণভয়ে সাঁতরে নদী পার হচ্ছে। অথচ পানিতেই মুখ ডুবিয়ে বসে আছে ক্ষুধার্থ কুমির।
- ফুল | Flower | Eye News
- বিলুপ্ত প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার; লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত
- সুন্দরবন সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্ভিদ প্রজাতির জরিপ করছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রী
- টর্নেডো: কি, কেন কীভাবে?
- জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায় ছড়াচ্ছে রোগবালাই
- শুশুক বাঁচলে বেঁচে যায় গোটা জলজ জীবন চক্র
- ফুল ছবি | Flower Photo | Download | Eye News
- ফ্রি ডাউনলোড-গোলাপ ফুলের ছবি
- পটকা মাছ বিষাক্ত কিনা বুঝবেন যেভাবে