রিপন দে
আপডেট: ১৮:৫২, ১২ জানুয়ারি ২০২১
‘বোস্তামি কাছিম’ আছে মৌলভীবাজারেও!
বায়োজিদ বোস্তামি কাছিম পাওয়া গেছে মৌলভীবাজারেও
চট্টগ্রামে হযরত বায়েজিদ বোস্তামি (র.)-এর মাজারে যে কাছিম রয়েছে তা বায়োজিদ বোস্তামির কাছিম হিসেবে পরিচিত। এদের সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা ছিল যে, মাজারের এই বিশেষ কাছিম বাইরে কোথাও নেই।
২০১২ সালে অস্ট্রিয়ার বিজ্ঞানি পিটার প্রাসচাগের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ হয় ভার্টিব্রেট জিউলজি জার্নালে। তিনি উপমহাদেশের কচ্ছপ এবং কাছিমের ওপর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। উপমহাদেশের কচ্ছপ কাছিমের ডাটা এবং জিনগত গবেষণা করে জানান, বায়োজিদ বোস্তামির কাছিম খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি এবং মৌলভীবাজারে পাওয়া গেছে। এছাড়া সিলেট এবং আসামের বিভিন্ন অঞ্চলে এদের বসবাস রয়েছে।
তবে এই কাছিম মৌলভীবাজারেও আছে বলে দাবি করেছেন অস্ট্রিয়ার বিজ্ঞানি পিটার প্রাসচাগ। এ নিয়ে তার একটি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে ভার্টিব্রেট জিউলজি জার্নালে।
এ ব্যাপারে খুঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর লেইকে প্রায়ই ভেসে উঠত একটি বিশাল আকৃতির কাছিম। অভিযোগ রয়েছে ২০১২ সালে এই কাছিমকে হত্যা করে চা শ্রমিকরা। পরে এই কাছিমের খোলস নিজেদের কাছে নিয়ে আসে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে।
ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব আইনিউজকে বলেন, কাছিমটির খোলস আমাদের কাছে আছে এবং ২০১২ সালে একজন বিজ্ঞানী এই খোলস থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে গবেষক শাহারিয়ার সিজার আইনিউজকে বলেন, ২০১২ সালে অস্ট্রিয়ার বিজ্ঞানি পিটার প্রাসচাগের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ হয় ভার্টিব্রেট জিউলজি জার্নালে। তিনি উপমহাদেশের কচ্ছপ এবং কাছিমের ওপর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। উপমহাদেশের কচ্ছপ কাছিমের ডাটা এবং জিনগত গবেষণা করে জানান, বায়োজিদ বোস্তামির কাছিম খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি এবং মৌলভীবাজারে পাওয়া গেছে। এছাড়া সিলেট এবং আসামের বিভিন্ন অঞ্চলে এদের বসবাস রয়েছে।
এই জাতের কাছিম প্রজননের জন্য নিজেরা কাছ করছেন জানিয়ে শাহারিয়ার সিজার বলেন , এই কাছিমের বড় একটি অংশ চট্টগ্রামের বায়োজিদ বোস্তামির মাজারে টিকে আছে। ২০০৪ সালের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, তখন পর্যন্ত এর সংখ্যা ছিল ৪০৮টি। এরা প্রজনন মৌসুমে পানি থেকে উপরে উঠে মাটিতে গর্ত করে ডিম পারে এবং মাটি দিয়ে সে গর্ত ঢেকে দেয়। এটাই তাদের স্বাভাবিক প্রজননের নিয়ম। কিন্তু পুকুরের দূষিত পানি ও পুকুর পাড়ের মাটি শক্ত হওয়ায় ডিম থেকে বাচ্চা ফোটেনা। এ ছাড়া ডিম দেওয়ার জন্য নিরাপদ জায়গা না থাকা এবং কুকুর, বিড়াল ও কাকসহ বিভিন্ন প্রাণী এদের ডিম খেয়ে ফেলাসহ নানা সমস্যায় এদের প্রজনন বৃদ্ধি পাচ্ছেনা।
পরীক্ষামূলকভাবে ‘বায়োজিদ বোস্তামি’ কাছিম প্রজনন
২০১৯ সালে প্রথম বারের মত মাজারের পুকুরের পাশে একটি ঘরে ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন এলায়েন্স পরীক্ষামূলকভাবে ৫০টি ডিম থেকে ৩৮টি কাছিমের বাচ্চার জন্ম দিতে সক্ষম হয়। প্রথমবারই ৮০ শতাংশ সফলতা আসে। ২০২০ সালে আমরা ২০৫ টি বাচ্চা প্রজনন করেছি। জানান- গবেষক শাহারিয়ার সিজার।
বোস্তামীর কাছিম বা বোস্তামীর কচ্ছপ (বৈজ্ঞানিক নাম: Nilssonia nigricans) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি অত্যন্ত বিরল এবং চরমভাবে বিপন্নপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ। বৈজ্ঞানিকভাবে এদের কালো নরম খোলের কচ্ছপ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia, পর্ব: Chordata, শ্রেণী: Reptilia, বর্গ: Testudines, উপবর্গ: Cryptodira, পরিবার: Trionychidae, গণ: Nilssonia, প্রজাতি: N. nigricans।
দ্বিপদী নাম : Nilssonia nigricans, (অ্যান্ডারসন, ১৯৭৫)[১]
প্রতিশব্দ : Trionyx nigricans অ্যান্ডারসন, ১৯৭৫, Amyda nigricans মার্টিন্স, মুলার রাস্ট, ১৯৩৪, Aspideretes nigricans মেয়লান, ১৯৮৭ Trionix nigricans রিচার্ড, ১৯৯৯।
আইনিউজ/এইচকে
- ফুল | Flower | Eye News
- বিলুপ্ত প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার; লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত
- সুন্দরবন সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্ভিদ প্রজাতির জরিপ করছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রী
- টর্নেডো: কি, কেন কীভাবে?
- জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায় ছড়াচ্ছে রোগবালাই
- শুশুক বাঁচলে বেঁচে যায় গোটা জলজ জীবন চক্র
- ফুল ছবি | Flower Photo | Download | Eye News
- ফ্রি ডাউনলোড-গোলাপ ফুলের ছবি
- পটকা মাছ বিষাক্ত কিনা বুঝবেন যেভাবে