Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৭ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০৬, ৯ জুন ২০২১
আপডেট: ২২:৪২, ৯ জুন ২০২১

পড়বি পড় মালীর ঘাড়ে...

সিলেট থেকে বাসে চড়ে শ্রীমঙ্গল যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম। গাড়িতে পাখির চেঁচামেচি শুনে খোঁজ নিয়ে দেখেন ড্রাইভারের সিটের নিচে একটি খাঁচায় কিছু টিয়া পাখি। দেশীয় টিয়া পাখি এখন বিপন্ন প্রায়। সিলেট থেকে বিভিন্ন সময় চোরাচালানীরা পাখি ও বন্যপ্রাণী বিভিন্নস্থানে পাচার করছে।

ঘটনাটি বুঝতে পেরে কিম পাখিগুলো উদ্ধার করার জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী'র সাথে যোগাযোগ করেন। বন কর্মকর্তা পাখিগুলো উদ্ধারে বনবিভাগের টিম পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বাসটি গতকাল রাত ৮টার দিকে মৌলভীবাজার শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে বন কর্মকর্তারা পুলিশের একটি দল সহ অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন তিনটি মেটে মাথা টিয়া পাখি উদ্ধার করেন। পাখিগুলোর মালিক না পাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও বাসের চালক ও হেলপারকে মুচলেকা দিয়ে ভবিষ্যতে গাড়িতে পাখি বা বন্যপ্রাণী পরিবহন না করার জন্য সতর্ক করে দেন। 

উদ্ধার হওয়া বিপন্নপ্রায় পাখি মেটে মাথা টিয়া। 

এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পড়বি পড় মালির ঘাড়ে। বাপা'র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম সিলেট নগর থেকে দেশীয় ও পরিযায়ী পাখি বিক্রি বন্ধে অনেক কাজ করেছেন। তাঁর চোখের সামনে এভাবে পাখি পাচার হতে দেখে তিনি বন বিভাগকে অবগত করেছেন। ফলে পাখিগুলো উদ্ধার করে আজ প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে আবদুল করিম কিম বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় কাজ করছি। দেশীয় ও পরিযায়ী পাখি শিকার ও বিক্রি বন্ধে সিলেটে বিভাগজুড়ে আমরা কাজ করেছি। সিলেট  নগরে এখন প্রকাশ্যে পাখি বিক্রি করতে দেখা যায় না। এই অবস্থায় আমার চোখের সামনে পাখি পাচার হতে দেখে পাখিগুলো বাঁচাতে বন বিভাগের সাহায্য নিয়েছি। 

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়