পানজুম ধ্বংস হলে খাসি জনগোষ্ঠী যাবে কোথায়?

খাসি, মান্দি, কোচ, লেঙাম জনগোষ্ঠীর মতো খুব কম মাতৃসূত্রীয় সমাজ আজ টিকে আছে পৃথিবীতে। বাংলাদেশে সিলেট বিভাগের পানপুঞ্জিগুলোতে মূলত খাসিদের বাস। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে খাসিয়া ও গারো হিসেবে পরিচিত হলেও নিজেরা পরিচয় দেন ‘খাসি’ এবং ‘মান্দি’। পাহাড়ি টিলায় নিজেদের গ্রামকে খাসিরা বলেন ‘পুঞ্জি’ আর পুঞ্জিপ্রধানকে বলেন ‘মান্ত্রী’।

হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলায় কিছু পানপুঞ্জি থাকলেও মৌলভীবাজার জেলায় পানপুঞ্জি আছে প্রায় ৭৩টি। এর ভেতর কুলাউড়ায় ৩০টি, বড়লেখা ১৯, শ্রীমঙ্গলে ১২, কমলগঞ্জে ৬, জুড়িতে ৪ ও রাজনগরে ২টি। খাসিদের পাশাপাশি এসব পানপুঞ্জির বাসিন্দা মান্দি, লালেং (পাত্র) ও কিছু বাঙালি পরিবার। সিলেট বিভাগের আদি পানপুঞ্জিগুলো আর আগের মতো টিকে থাকতে পারছে না। মূলত চা বাগান থেকে উপ-ইজারা নেওয়া এসব পানপুঞ্জির প্রাচীন গাছ ও পানজুম কেটে পুঞ্জিবাসীর উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বহাল রেখেছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি কুলাউড়া ও বড়লেখার পানপুঞ্জিগুলোতে আবারও নির্বিচার গাছ কাটা, পানজুম ধ্বংস এবং জবরদখলের নিদারুণ ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রশাসন এবার নিশ্চুপ থাকেনি। জবরদখলমুক্ত করে পানপুঞ্জির পাশে দাঁড়িয়েছে। তৎপর হয়েছেন মাননীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। ১২ জুন বড়লেখার পানপুঞ্জি প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করে পানপুঞ্জির উন্নয়ন ও নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন। পানপুঞ্জি নিয়ে রাষ্ট্রের এমন সাহসী তৎপরতা আগে তেমন ঘটেনি। নাহারপুঞ্জি, ঝিমাইপুঞ্জি, ফুলতলা, আমরাইলছড়া, গান্ধাইপুঞ্জি, পুঁটিছড়া, নুনছড়া, ইছাছড়াপুঞ্জি, লাউয়াছড়া বা মাগুরছড়ার ঘটনায় আমরা এমন রাষ্ট্রীয় তৎপরতা দেখিনি। বরং নির্মমভাবে উচ্ছেদ হতে দেখেছি হবিগঞ্জের বৈরাগী, শীতলাপুঞ্জি থেকে শুরু করে শ্রীমঙ্গলের জানকীছড়া ও জোলেখাপুঞ্জি এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার জাপানপুঞ্জি, লাম্বাছড়া, সেগুনটিলা, ৫-নাম্বারপুঞ্জি।

বৃহত্তর সিলেটে খাসি জনগোষ্ঠীর অবদান অনেক। এশিয়ার বৃহত্তম গ্রাম হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের নামে এখনো খাসি গন্ধ লেগে আছে। খাসি ভাষায় ছোনং/স্নোং মানে গ্রাম বা পুঞ্জি। আর বেনিয়াদের (বাণিজ্য কারবারি) ছোনং থেকেই আজকের ‘বানিয়াচং’। খাসি ভাষায় ফলকে বলে ‘স’। খাসিরা পেয়ারাকে বলে ‘সপ্রিয়াম’। সিলেটের বৃহত্তর সমাজে পেয়ারা ‘শফরিআম’ হিসেবে পরিচিত। সুতাং, লংলা, পিআইন নদীগুলোর সঙ্গে মিশে আছে খাসি ভাষার স্মৃতি। খাসিরা শুধু সিলেটের জনমিতির বৈচিত্র্যই সমৃদ্ধ করেননি বরং পানজুমের মতো এক বিশেষ পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনার ভেতর দিয়ে সুরক্ষিত রাখছেন প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র। পানপুঞ্জি ঘিরে এমন ধারাবাহিক নিপীড়ন ও নিরুদ্দেশ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হলে রাষ্ট্রীয় ভূমি বন্দোবস্ত নীতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি। পানপুঞ্জির পরিবেশসম্মত কৃষি ব্যবস্থাপনাকে বিশেষ কৃষি ঐতিহ্য অঞ্চল হিসেবে সুরক্ষা ও বিকাশের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। চলতি আলাপখানি কাঁকড়াছড়া, আগার ও বনাখলা পানপুঞ্জিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নিপীড়ন ও ন্যায়বিচারের এক প্রতিবেশগত বিশ্লেষণ।

কী ঘটছে কাঁকড়াছড়ায়?

ব্রিটিশ উপনিবেশের সময় পাশের আগারপুঞ্জির মতোই কুলাউড়ার সদর ইউনিয়নের চা বাগানে কাঁকড়াছড়া পুঞ্জিটি গড়ে ওঠে। পাশের ছড়াটিতে প্রচুর কাঁকড়া পাওয়া যেত বলেই ছড়াটির নাম হয় কাঁকড়াছড়া। আর ছড়ার নামেই পুঞ্জির নাম। প্রথম পুঞ্জিপ্রধান ছিলেন ইয়াং খাসিয়া। তারপর একে একে দায়িত্ব নেন জনিস খাসিয়া, বন খংলা ও প্রভাত মারলিয়া। মুক্তিযুদ্ধের পর চা বাগানের মালিকানা বদল হয়। মোহাম্মদ রশিদ বাগান বেচে দেন, নতুন মালিক হন রেহানা বেগম। তারপর থেকে এই বাগান ‘রেহানা চা বাগান’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। রেহানা চা বাগানের সঙ্গে কাঁকড়াছড়া পুঞ্জির ৯ বছর মেয়াদি একটি নতুন চুক্তি হয় ৫/৬/২০০৪ থেকে ৪/৫/২০১৩ পর্যন্ত। ২০০৪ থেকে পুঞ্জিপ্রধানের দায়িত্ব নেন জনপল চিসিম। ২০১৩ সালে রেহানা চা বাগানের সঙ্গে পানপুঞ্জির চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তারা আর চুক্তি নবায়ন করেনি। চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাই প্রতি বছর পানপুঞ্জির গাছ কেটে চায়ের চারা লাগিয়েছে। এ কারণে পুঞ্জি থেকে অনেক পরিবার প্রতি বছর উচ্ছেদ হয়। কাঁকড়াছড়ায় খাসি ও মান্দিদের ৪৭ পরিবার ছিল, বর্তমানে টিকে আছে মাত্র ১৭ পরিবার। কাঁকড়াছড়ায় এমন অনেক ভেঙেচুরে পড়া মাটির ঘর আছে। পুঞ্জির একমাত্র কবরস্থানটিও দখল হয়েছে। খাসিরা একে বলেন জিংত্যাপ আর মান্দিরা মাংরুদাম। পুঞ্জির প্রাচীন খেলার মাঠটির চারদিকে লাইন করে গর্ত করে চায়ের চারা লাগানো হয়েছে এবং পানীয়-জলের কুয়াটিও দূষিত করেছে বাগান কর্তৃপক্ষ। বিশাল সব আম, জাম, কাঁঠাল, চাম্বল, বনাক, পুরখুংগাছে ভরপুর ছিল কাঁকড়াছড়া। উড়ন্ত কাঠবিড়ালি, পাখি, মৌমাছি, সবুজ গাছ ব্যাঙ, বনরুই, খরগোশ গড়েছিল সংসার। চা বাগান সম্প্রসারণের নামে বছর বছর পানজুম ধ্বংস করার ফলে এসব বন্যপ্রাণী এখন কমে গেছে।

কেমন আছে আগারপুঞ্জি?

‘পানের রূপ-লাবণ্য অথবা ভূমির রহস্য’ নামে একটি গল্প আছে মৌলভীবাজারের আকমল হোসেন নিপুর। গল্পটিতে একটি প্রশ্ন রেখেছেন নিপু, ‘পানজুন ধ্বংস হলে পাহাড় থেকে উচ্ছেদ হলে খাসি জনগোষ্ঠী খাবে কী, যাবে কোথায়? বছর বছর উচ্ছেদ হলেও খাসি ভাষায় ‘উচ্ছেদ’ বলে কোনো শব্দ নেই। ‘গ্রাম বা পুঞ্জি থেকে কাউকে তাড়ানো বা ভাগিয়ে দেওয়াকে বলে ‘বেহ ছোনং বা বেহ থাও বা পাকার’, বসতি ছেড়ে যাওয়াকে বলে ‘ফেট ছোনং’। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে বলপূর্বক উচ্ছেদের কোনো খাসি শব্দ নেই। কেবল ‘উচ্ছেদ’ নয়, বিশ বছর ধরে বহিরাগতরা যেভাবে জবরদখলের জন্য পানপুঞ্জির পানগাছ কাটছে এরও কোনো শব্দ নেই খাসি ভাষায়। পানজুমের ব্যবস্থাপনা হিসেবে লতানো পানের ডালপালা ছাঁটতে হয়, আবার কখনো উৎরাম রোগ হলে পুরো গাছ উপড়ে তুলে ফেলতে হয়। খাসি ভাষায় একে ‘থাট পেথা’ বা ‘ফুট পেথা’ বলে। কিন্তু জবরদখল ও উচ্ছেদের জন্য এলোপাতাড়ি ‘পানগাছ কাটার’ কোনো শব্দও খাসি ভাষায় নেই। বড়লেখার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ছোটলেখা চা বাগানের আগারপুঞ্জিতে বসবাস করছে ৪৮ পরিবার। পাহাড়ে আগরগাছের বাগান থেকেই এই পুঞ্জির নাম হয়েছে আগার। নতুন এই আগারপুঞ্জি গড়ে উঠেছে ১৯৯৮ সালে। প্রথম মান্ত্রী (পুঞ্জিপ্রধান) ছিলেন কিলমিলাং পকর্ন। ১৯৮০ সালে ইনাইনগর থেকে ৪০ পরিবার খাসি এসে প্রথম পুরান আগারপুঞ্জি গড়ে তোলেন। ১৯৯১ সালে চা বাগান গাছ কেটে সেই পুঞ্জিটি উচ্ছেদ করে এবং পুঞ্জিবাসী ঝিঙ্গেলা পুঞ্জিতে চলে যান। সেখানে থাকতে না পেরে পুরান আগারপুঞ্জির প্রায় এক কিমি দূরে নতুন এই আগারপুঞ্জি গড়ে তোলেন।

২০২১ সালের ৩০ মে বহিরাগত দুর্বৃত্তরা আগারপুঞ্জির ১০০০ পানগাছ গোড়া থেকে কেটে ফেলে। কেবল করোনাকালেই নয় এর আগেও পুঞ্জি দখলের জন্য দুর্বৃত্তরা তাদের গাছ ও পানজুম কেটে ফেলেছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নালিখাইপুঞ্জির পান জুম ও বসতঘর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ২০১৫ সালের নভেম্বরেও আগারপুঞ্জির কয়েকশ পানগাছ কেটে বিনাশ করা হয়। ঘটনার পর পুঞ্জির মান্ত্রী সুখমন আমসে ৩১/৫/২০২১ তারিখে বড়লেখা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (জিডি নং-১৪৯২)। সাম্প্রতিক এই পানজুম ধ্বংসের ঘটনায় এখনো অপরাধীকে শনাক্ত ও বিচার করা যায়নি।

কেমন চলছে বনাখলা পুঞ্জি?

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কালাপাহাড় বেগুনছড়াপুঞ্জিকে বলা হয় সিলেটের সর্বোচ্চ চূড়া। আর বড়লেখার সর্বোচ্চ চূড়া হলো গগনটিলা। ঐতিহাসিক পাথারিয়া পাহাড়ের অংশ এই গগনটিলাতেই প্রাচীন এক পানপুঞ্জি গগনটিলা। গগনটিলায় খাসি জনগোষ্ঠীর আদি বসত থাকলেও ২০০৭ সালে খাসিরা ছোটলেখা চা বাগান থেকে ২৭২ একর জমি ইজারা নিয়ে এই পুঞ্জি গড়ে তোলেন। ছোটলেখা চা বাগান সরকারের কাছ থেকে ১ হাজার ৯৬৪ দশমিক ৫০ একর টিলাভূমি চা বাগানের জন্য ইজারা নিয়েছিল। চা বাগানের ইজারাকৃত জমি থেকেই কর্তৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে খাসিদের উপ-ইজারা দেয়। সরেজমিনে বনাখলা পুঞ্জিতে গিয়ে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৮ মে বনাখলা পুঞ্জি দখল করে বাইরে থেকে আসা বাঙালিরা। বনাখলা পুঞ্জির মালকিন সুমের, সান্দাই পপ্লেক, আমস রূপসির, অলমি পতাম, স্টারসন নংরুত, স্টেরিং নংরুত, বেল বারেহ এবং সাইনিল পথমির প্রায় ৭০ একর পানজুম সাত দিন জবরদখল করে রাখে বাঙালিরা। ঘটনার পর নরা ধার বড়লেখা থানায় একটি জিডি করেন এবং চা বাগান কর্তৃপক্ষ মামলা করে। জবরদখলের এক সপ্তাহের ভেতর বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন ২০২১ সালের ৪ জুন বনাখলা পানপুঞ্জির জায়গা দখলমুক্ত করেছেন।

পানপুঞ্জির পরিবেশগত অবদানের স্বীকৃতি

পানপুঞ্জিগুলো শুধু পান ও ফলফলাদি উৎপাদন করে না, স্থানীয় বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কারণ লতানো পান চাষের জন্য দেশি প্রজাতির বহু প্রাচীন বৃক্ষ দরকার। এমন বহু দেশি গাছে লাইকেন, শৈবাল, ছত্রাক, ফার্ন, অর্কিডও জন্মে। গাছগুলো বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল। পানপুঞ্জিগুলোতে অনেকের ঘরের সামনেই টিয়াপাখি দেখা যেত, এখন নেই। এ বিষয়ে কাঁকড়াছড়াপুঞ্জির শতবর্ষী প্রবীণ খাসি নারী কাকা লাকাচিয়াং জানান, ‘টিয়াপাখি থাকে বড় গাছের ক্রেমে (খোঁড়ল), সেখানে মৌমাছিও স্নিইঙাপ (চাক) বানায়। পুরনো বড় গাছ ছাড়া খোঁড়ল হয় না, চা বাগান কর্তৃপক্ষ বড় গাছ সব কেটে ফেলে, এখন পাখিও নাই, মৌমাছিও নাই।’ তরুল, বট, ডুমুর, চাম্বলগাছে চাক বেশি হয়, আর এসব গাছ বড় হলেই চা বাগান কর্তৃপক্ষ সেসব কেটে ফেলে। পানপুঞ্জিতে বছর বছর মধু সংগ্রহের পরিমাণ কমছে। চা বাগান যখন গাছ কাটে তখন একাধারে সব গাছ কেটে ফেলে। কুলাউড়ার কাঁকড়াছড়া পুঞ্জির মিন্টু রেমাদের প্রায় ১৪০টি ছেরেঙান (বনাক) ও ৬টি পুরখুং (জাউয়া) গাছ কেটেছে রেহানা চা বাগান। খাসিদের ভেতর আদি জেন্টিল ধর্মাবলম্বীদের কাছে এসব গাছ পবিত্র। ‘বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২’ দেশের পবিত্র বৃক্ষ ও বন সংরক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে। পানপুঞ্জিগুলোর পাশের পাহাড়ি ছড়াগুলো আবর্জনামুক্ত থাকে, একমাত্র জলের উৎস হিসেবে পুঞ্জিবাসী এসব সংরক্ষণ করেন। পানপুঞ্জির এই পরিবেশগত অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি। জলবায়ু বিপর্যস্ত এ সময়ে পানপুঞ্জির এমন পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থাপনা আমাদের মুমূর্ষু দুনিয়ার জন্য এক অবিস্মরণীয় উপহার। আর এই অবদান খাসি-মান্দিসহ পুঞ্জিবাসীর দীর্ঘদিনের লোকায়ত ব্যবস্থাপনা বিজ্ঞানের ফলাফল।

চা বাগান সম্প্রসারণের নামে পানপুঞ্জি উচ্ছেদ বা গাছ কাটা বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রতিবেশ বাস্তুসংস্থানে বিপর্যয় তৈরি করবে। উচ্ছেদ নয়; বরং পানপুঞ্জির অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে। পানপুঞ্জির সুরক্ষা ও বিকাশে রাষ্ট্রকে বাস্তুতন্ত্র সংবেদনশীল নীতি গ্রহণ করতে হবে।

পাভেল পার্থ, প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণবিষয়ক গবেষক