Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৬ ১৪৩২

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:১৮, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২
আপডেট: ১৩:২৩, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

শ্রীমঙ্গলে আহত অবস্থায় লক্ষ্মীপেঁচা উদ্ধার

লক্ষ্মীপেঁচা

লক্ষ্মীপেঁচা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় একটি লক্ষ্মীপেঁচা উদ্ধার করেছে Stand For Our Endangered Wildlife (SEW) টিম। এসইডব্লিউ এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহযোগিতায় উপজেলার সাতগাঁও চা বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে থেকে পেঁচাটিকে উদ্ধার করা হয়। 

জানা গেছে, এটি তিনদিন ধরে আহত অবস্থায় সেখানে ছিল। পাখিটির ডানা দুটি মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়।  

এসইডব্লিউ'র সদস্য সোহেল শ্যাম জানান, বর্তমানে পাখিটি বন বিভাগের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাখিটির দুটি ডানা আঘাতপ্রাপ্ত কিভাবে হলো সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করি পাখিটি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।  

লক্ষ্মী পেঁচা (Barn owl) একটি নিশাচর পাখি। পাখিটি সারাদেশেই কম-বেশি দেখা যায়। গাছের উঁচু ডাল, পরিত্যক্ত বাড়ি, গাছের কোটর ইত্যাদি অন্ধকারাচ্ছন্ন নির্জন পরিবেশে থাকতেই এরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। নিশাচর এই পাখিটি শুভ পাখি হিসেবে পরিচিত। এ প্রাণীটির দৈহিক বৈশিষ্ট্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল বড় বড় গোল চোখ আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। মাথা ঘুরিয়ে এরা প্রায় পুরোপুরি পেছনের দিকেও তাকাতে পারে।

লক্ষ্মীপেঁচা ছোট ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন শুঁয়োপোকা, টিকটিকি, ঢোঁড়া সাপ, ব্যাঙসহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গ খেয়ে জীবনধারণ করে। এরা ধানক্ষেতের ইঁদুর ও ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে কৃষকের উপকার করে। কিন্তু কুসংস্কার, বৈরী পরিবেশ, খাদ্যের অভাব ও আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া, লক্ষীপেঁচার প্রতি কাকসহ কয়েকটি পাখির শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব এবং আক্রমণ ইত্যাদি কারণে এটি আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবীর স্বার্থে এই পাখিটি রক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

আইনিউজ/সাজু মারছিয়াং/এসডিপি

আইনিউজ ভিডিও 

কৃষক ও ফিঙে পাখির বন্ধুত্ব (ভিডিও)

পোষ মানাতে হাতির বাচ্চাকে নির্মম প্রশিক্ষণ 

হাতির আক্রমণে হাতি হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়