Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ এপ্রিল ২০২৫,   চৈত্র ২৭ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ৪ মার্চ ২০২২
আপডেট: ১২:৫৯, ৪ মার্চ ২০২২

প্রাণী দিবসে লাউয়াছড়ায় দুর্ঘটনায় মা হনুমান ও বানরের মৃত্যু

দুর্ঘটনায় নিহত একটি চশমাপরা হনুমান ও একটি বানর

দুর্ঘটনায় নিহত একটি চশমাপরা হনুমান ও একটি বানর

প্রাণী দিবসে লাউয়াছড়ায় দুর্ঘটনায় মারা গেছে একটি চশমাপরা হনুমান ও একটি বানর। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে কাছাকাছি সময়ে পরপর দুটি দুর্ঘটনায় এই দুটি বিপন্ন প্রাণী মারা যায়। 

প্রাণীবৈচিত্র্যের অভয়াশ্রম মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। এই লাউয়াছড়ায় বন্যপ্রাণী দিবসেই মারা গেছে দুটি প্রাণী। একটি চশমাপরা হনুমান ও একটি একটি বানর। দুটি প্রাণীই মারা গেছে মানুষের সৃষ্ট ফাঁদে।

বানর মারা গেছে দ্রুতগামী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চাপায়। আর চশমাপরা হনমুান মারা গেছে পল্লীবিদ্যুতের খোলা তারে ষ্পৃষ্ট হয়ে।

বন বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জের রেঞ্জার শহীদুল ইসলাম আই নিউজকে বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভানুগাছ-শ্রীমঙ্গল সড়কের গাড়িভাঙ্গা এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টার দিকে দ্রুতগামী সিএনজি চালিত অটোরিকশা একটি বানরকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণীটি মারা যায়। বানরটি রাস্তা পারাপার হচ্ছিলো। 

অপরদিকে কাছাকাছি সময়ে লাউয়াছড়া রেস্ট হাউজের কাছে পল্লীবিদ্যুতের খোলা তারে ষ্পৃষ্ট হয়ে একটি চশমাপরা হনমুান মারা গেছে।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র আই নিউজকে বলেন, চশমাপরা হনমুানের সাথে মাত্র দুদিনের একটি বাচ্চা ছিলো। শিশু বাচ্চাটির সামনেই মা হনুমান মারা যায়। তখন বাচ্চাটি চিৎকার করে কাঁদছিলো। তখন প্রাণীটি উদ্ধারে উপস্থিত বনকর্মীরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। শ্যামল মিত্র বলেন, দুটি প্রাণীকে বাঁচাতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করি। কিন্তু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। যে কারণে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ ছিলো না। পরের এগুলোকে বনের রেসকিউ সেন্টার এলাকায় কবর দেওয়া হয়।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বন্যপ্রাণী দিবসেই দুটি প্রাণী মারা গেছে। এটা হৃদয়বিদারক ও অনাকাংখিত। তিনি বলেন, চশমাপরা হনুমানের বাচ্চাটিকে আমরা বাঁচাতে চেষ্টা করছি। এটা এখন বাঁচলেও মানুষের সংস্পর্শে এসে পোষ্য হিসেবে বড় হবে। বন্য থাকবে না।

চশমাপরা হনুমানের বাচ্চা কোলে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে বিদ্যুতের খোলা তারে কাভার দিতে চিঠি দিয়েছি। বারবার অনুরোধ করেছি। কারণ প্রায়ই প্রাণী মারা যাচ্ছে। আশা করছি তারা দ্রুত বিদ্যুতের খোলা তারে কাভার দেবেন। এতে অনেক প্রাণীর জীবন নিরাপদ হবে। 

উল্লেখ্য- ৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ছিলো বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। বিপন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষা করি, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসি- এ স্লোগানকে সামনে রেখে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ মৌলভীবাজার জেলায় পালিত হয় বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। 

দিবসটি উপলক্ষে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে গতিসীমা ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার সীমিত রাখার বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় টানা তিনঘন্টা ৩৭৭টি গাড়ি ২০ কিলোমিটার গতিসীমায় চলাচল করে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় একটি অসুস্থ বানরকে উদ্ধারপূর্বক সুস্থতা নিশ্চিত করে বনে অবমুক্ত করা হয়।

এর কিছু পরই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে মারা যায় দুটি বন্যপ্রাণী।

আইনিউজ/এমজিএম

 

আইনিউজ ভিডিও 

 

লাউয়াছড়ায় ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার গতিসীমা | লাউয়াছড়া | Lawachhara Road Speed | Eye News

কৃষক ও ফিঙে পাখির বন্ধুত্ব (ভিডিও)

পোষ মানাতে হাতির বাচ্চাকে নির্মম প্রশিক্ষণ 

হাতির আক্রমণে হাতি হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়