Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৫ ১৪৩২

সাজু মারছিয়াং

প্রকাশিত: ০০:০৬, ৮ জুন ২০২২

গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপক বাঁচালেন পাতি সরালির ছানাদের

পাতি সরালি পাখির ছানা

পাতি সরালি পাখির ছানা

হবিগঞ্জ থেকে পাতি সরালি পাখির ছানা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জুন) হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের গেস্ট বাংলো থেকে প্রাণিগুলো বন বিভাগ ও স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফ সংগঠনের সদস্যরা উদ্ধার করেন। 

এর আগে গত সোমবার গেস্ট বাংলোর পাশে একটি পানির গর্তে সরালি পাখির বাচ্চাগুলোকে দেখতে পেয়ে গেস্ট বাংলোয় নিয়ে রাখেন রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) গোলাম রব্বানী মিন্টু। পরে স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে প্রাণিগুলোকে হস্তান্তর করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) গোলাম রব্বানী মিন্টু, বন বিভাগের জুনিয়র ওয়াল্ড লাইফ স্কাউট মো. তাজুল ইসলাম, ফরেস্ট গার্ড (এফজি) সুব্রত সরকার, স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফের সমন্বয়ক খোকন থাউনৌজম, সোহেল শ্যাম, সাংবাদিক শিমুল তরফদার।

রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) গোলাম রব্বানী মিন্টু বলেন, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের আশপাশে প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রচুর পাখি বসবাস করে। গতকাল সোমবার আমি গেস্ট বাংলোর পাশে সরালি পাখির বাচ্চা দেখতে পেয়ে এগুলোকে গেস্ট বাংলায় এনে রাখি ও বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করি। প্রাণিগুলো বৃষ্টির পানিতে ভিজে দুর্বল হয়ে গিয়েছে। প্রাণিগুলোকে গর্ত থেকে উঠিয়ে না আনলে সবগুলোই মারা যেতে পারতো। 

ওয়াইল্ডলাইফের সমন্বয়ক খোকন থাউনৌজম বলেন বন বিভাগের সাথে যৌথভাবে আমরা প্রাণিগুলোকে উদ্ধার করে আমাদের অস্থায়ী সেবা কেন্দ্রে বন বিভাগের পরামর্শ নিয়ে সেবা শুশ্রূষা করছি। প্রাণিগুলো সুস্থ হয়ে একটু বড় হলে আমরা তার পরিবেশে অবমুক্ত করবো।

তিনি বলেন, পাতি  সরালির বৈজ্ঞানিক নাম Dendrocygna javanica অর্থাৎ জাভার বৃক্ষবাসী হাঁস। পাতি সরালি হাঁস আমাদের দেশেরই পাখি। গ্রীষ্মে ছোট ছোট জলাশয়ে বাস করে এবং শীত এলেই হাওর-বাওর, নদী-বিলে অস্থায়ীভাবে থাকে।

শীত ছাড়া অন্য মৌসুমে ওরা ঝাঁক থেকে বের হয়ে নিজেদের বেঁচে থাকার তাগিদে একক বা জোড়া হয়ে বিভিন্ন ছোট-বড় জলাশয়, ডোবা, বিল, হাওরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়। একত্রিতভাবে না থাকার কারণে তাদের সংখ্যাটা ব্যাপকভাবে চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণি আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। আইউসিএন এর তালিকায় বাংলাদেশে এই পাখিটিকে নূন্যতম বিপদগ্রস্থ ঘোষণা করেছে।এর খাবারের তালিকায় রয়েছে ধানক্ষেতের ছোট ছোট শামুক, জলজ উদ্ভিদ-শ্যাওলা, ছোট মাছ, জলজ পোকামাকড়।

এপ্রিল-মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এদের প্রজনন মৌসুম। প্রজনন মৌসুমে এরা মূলত জলাশয়ের ধারে বড় গাছের কোটরে, ডাব গাছে বাসা করে। ডিম দেয় ৭-১১ টি। ডিম ফুটে ছানা বের হয় ২০-২১ দিনে।

আইনিউজ/সাজু মারছিয়াং/এসডিপি

লাউয়াছড়ায় ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিসীমা

কৃষক ও ফিঙে পাখির বন্ধুত্ব (ভিডিও)

পোষ মানাতে হাতির বাচ্চাকে নির্মম প্রশিক্ষণ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়