Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩২

হেলাল আহমেদ

প্রকাশিত: ১৫:০৩, ২ আগস্ট ২০২২
আপডেট: ১৬:৪১, ২ আগস্ট ২০২২

শুশুক বাঁচলে বেঁচে যায় গোটা জলজ জীবন চক্র

শুশুক বা ডলফিনকে আঞ্চলিক ভাষায় হুম মাছ/হু মাছ নামে ডাকলেও, আসলে এরা মাছ প্রজাতীর প্রাণী নয়। এরা শান্ত স্বভাবের বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী। বলা হয় শুশুক জলে অধিক থাকা মানে সুস্থ-সনল মাছের আধিক্য হওয়া। শুশুক বাঁচলেই রক্ষা পাবে জলজ জীবনচক্র।

বাংলাদেশের মিঠাপানির নদ-নদী, শাখা নদী, বড় খাল, ও গভীর জলাধার শুশুক/ডলফিনের উপযুক্ত আবাসস্থল ও নিরাপদ বিচরণক্ষেত্রে। এদেরকে বলা হয় জলজ পরিবেশের সুস্থতার  নির্দেশক। কারণ, যে জলাধারে ডলফিন থাকে সেখানে জীবনচক্রের ভারসাম্য রক্ষা হয়। এতে মাছের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি পরিবেশ এদের উপস্থিতি ও আচরণ পানির গুণগতমান ও পরিবেশের ভালো-মন্দ অবস্থার তথ্য দেয়। তাই বিপন্নপ্রায় এই শুশুক/ডলফিন রক্ষা করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।

কেন শুশুক বা ডলফিন রক্ষা করা দরকার?

  • পানি দূষণ রোধ করে জলজ পরিবেশ সুস্থ রাখে।
  • জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে।
  • দুর্বল ও রোগাক্রান্ত মাছ খেয়ে অন্যান্য সুস্থ মাছের মধ্যে সংক্রমণ রোধ করে।
  • শুশুক জলে অধিক থাকা মানে অধিক সুস্থ-সবল মাছের আধিক্য হওয়া।
  • এরা বাঁচলেই রক্ষা পাবে জলজ জীবনচক্র।

শুশুক শিকার বা হত্যার শাস্তি:
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী- শুশুক বা ডলফিন শিকার/হত্যা করা, পাচার কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করা আইনত: দণ্ডনীয় অপরাধ। এরূপ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা। 

আইনিউজে আরও পড়ুন-

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়