হাসানাত কামাল
ফুলেলশহর মৌলভীবাজারে মোকারম হোসেন
ফুলের ছবি নিজের মোবাইলে ধারণ করছেন মোকারম হোসেন।
মৌলভীবাজারকে আমরা ফুলেল শহর হিসেবে গড়তে চাই। যেখানে থাকবে দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুল। ফুলে-ফুলে সু-শোভিত থাকবে শহর। তবে দেশী ও স্থানীয় জাতের ফুল প্রাধান্য পাবে। এরমধ্যে আছে দুর্লভ ও হারিয়ে যাওয়া ফুলের বৃক্ষ ও লতা। বিগত তিন-চার বছর ধরে আমাদের এ কার্যক্রম চলমান।
আমাদের এ কার্যক্রম দেখতে ঢাকা থেকে এসেছিলেন পরিবেশ, প্রকৃতি ও প্রাণসম্পদ বিষয়ক লেখক মোকারম হোসেন।
মূলত মেয়র ফজলুর রহমানের আমন্ত্রণে তাঁর আগমন। সারাদিন ঘুরেছেন প্রবীণাঙ্গণের ফুলের রাজ্য, পৌরসভা প্রাঙ্গণ ও পুকুরপার এবং শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে লাগানো আমাদের ফুলের জগতে। দেখেছেন শান্তিবাগে মনুনদীর পারে পৌরসভা কর্তৃক নির্মিতব্য বিনোদন স্থান ও কোদালিছড়ার দুইপার। যেখানে লাগানো হবে নানা জাতের ফুল।
মেয়র ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের এই যজ্ঞ দেখে মুগ্ধ মোকারম হোসেন। অনেক পরামর্শ দিয়ে গেছেন।
আমাদের এই যাত্রায় তিনি মূলত মেনটর হিসেবে কাজ করবেন। এই মাটির উপযোগী বৃক্ষ-লতা নিয়ে গবেষণা করে একটা গাইডলাইন দেবেন। সেভাবেই লাগানো হবে ফুলের গাছ।
তবে আমি চাই আপাতত কোর্ট রোডের দুইপাশে থাকবে বর্ষজীবি ফুলবৃক্ষ। দেয়ালে থাকবে লতাজাতীয় ফুল। মূল সড়কের একটা অংশজুড়ে থাকবে ফুলের টব। টবে লাগানো হবে ফুল। থাকতে পারে মৃদু আলোকবাতি। ফুলের শোভা আর সৌরভের মাঝে থাকবেন শহরবাসী। মুগ্ধ হবেন আগন্তুক পর্যটকেরা। যেমনটা ইন্দোনেশিয়ায় দেখে এসেছিলেন আমাদের মেয়র মহোদয়।
অবশ্য সড়কের মাঝখানে মানুষের উপদ্রুব থেকে ফুলগাছ রক্ষা করা একটু কষ্টসাধ্য হবে। একটাসময় হয়তো ডাল ভেঙ্গে ফেলা, ফুল ছিঁড়ে ফেলা লোকজনই সংরক্ষক হয়ে যাবেন। সেজন্য কাজটা শুরু করতে হবে।
মোকারম হোসেন খুব শীঘ্রই একটা পরিকল্পনা আমাদের দেবেন- সে প্রত্যাশা রইলো।
মৌলভীবাজারের সাথে মোকরম হোসেনের অন্যরকম একটা সম্পর্ক আছে। কারণ নিসর্গ সারথি দ্বিজেন শর্মার বাড়ি জেলার বড়লেখা উপজেলায়। আর দ্বিজেন শর্মা হলেন মোকরম হোসেনের ফুল-বৃক্ষ-তরুলতা চেনাজানার শিক্ষক। এছাড়া দ্বিজেন শর্মা প্রতিষ্ঠিত তরুপল্লবের অন্যতম সদস্য মোকরম হোসেন।
বনবনানী, বৃক্ষলতায় ঘেরা মৌলভীবাজারের প্রতি অন্যসব প্রকৃতিপ্রেমীদের মতো মোকারম হোসেনের একটা টানও সবসময় কাজ করে। তিনি হয়তো এখন আরো বেশি করে আসবেন মৌলভীবাজারে।
মেয়র ফজলুর রহমান যিনি নিজে গাছ লাগান, পানি দেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফুল সংগ্রহ করেন। সুন্দর একটা ফুল ফুটলে খুশি হয়ে যান। সবাইকে দেখান। মোকরম হোসেনসহ আরো বৃক্ষসারথিদের নিশ্চয় তিনি যুক্ত করবেন।
ফুলময় এইদিনে আরো উপস্থিত ছিলেন ফুলেলশহর মৌলভীবাজার টিমের সদস্য কানাডা প্রবাসী নূরুর রহমান তরফদার। মূলত এই ফুলপ্রেমী মানুষটাই আমাদের মাঝে বীজ বুনে দিয়েছেন। যিনি ফুলগাছ লাগানো জন্য কানাডা থেকে দেশে ছুটে আসেন। নিজে ফুলগাছ লাগান। গাছে পানি দেন। পকেটের টাকা খরচ করেন।
এছাড়া নিসর্গসখা, লেখক-কবি-সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রথম আলো নিজস্ব প্রতিবেদক। অনেকেই তাঁকে ফুলপাখির সাংবাদিকও বলে থাকেন। কারণ পরিবেশ-প্রকৃতির প্রতি তাঁর অমোঘ এক টান। যেটা তাঁর লেখায় ও কবিতায় ফুটে ওঠে। ফুল, পাখি, জীববৈচিত্র্য নিয়ে লেখা, রিপোর্ট করা উনার কাছ থেকেই আমার শেখা। ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ও শিশু উন্নয়ন গবেষক জসীম উদ্দিন মাসুদ। যিনি একজন উদ্যমী, মেধাবী ও সৃষ্টিশীল মানুষ। কনিষ্ঠ্ সদস্য হিসেবে আমি তো ছিলামই।
তবে আমাদের টিমের জ্যেষ্ঠ দুই সদস্য ডা. এম এ আহাদ কানাডা অবস্থান করছেন। অধ্যাপক আব্দুল খালিক পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। যে কারণে এই দুইজন উপস্থিত থকাতে পারনে নি।
ফুলেলশহর মৌলভীবাজার নিয়ে লেখা চলমান থাকবে। কি কি ফুল লাগানো হয়েছে সে বিষয়টি অন্য পর্বে তুলে ধরবো।
আই নিউজ/এইচএ
আইনিউজে আরও পড়ুন-
- রেসকিউ সেন্টার থেকে ফের লাউয়াছড়ার বুকে গেলো লজ্জাবতি বানরগুলো
- লোকালয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, আতঙ্কে গ্রামবাসী
- ঘুমন্ত মানুষের ঘামের গন্ধে আসে এই সাপ, দংশনে নিশ্চিত মৃত্যু
বিশ্বের মজার মজার গল্প আর তথ্য সম্বলিত আইনিউজের ফিচার পড়তে এখানে ক্লিক করুন
দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি
জলময়ূর পাখির সাথে একদিনের দারুণ গল্প | A story with Water Peacock
- ফুল | Flower | Eye News
- বিলুপ্ত প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার; লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত
- সুন্দরবন সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্ভিদ প্রজাতির জরিপ করছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রী
- টর্নেডো: কি, কেন কীভাবে?
- জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায় ছড়াচ্ছে রোগবালাই
- শুশুক বাঁচলে বেঁচে যায় গোটা জলজ জীবন চক্র
- ফুল ছবি | Flower Photo | Download | Eye News
- ফ্রি ডাউনলোড-গোলাপ ফুলের ছবি
- পটকা মাছ বিষাক্ত কিনা বুঝবেন যেভাবে